প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
বিশ্বের প্রথম এমব্রয়ডারি কোরআন শরিফ

সুঁই-সুতা দিয়ে সাধারণত জামাকাপড় সেলাই করা হয়ে থাকে। আবার অনেকে এই কাপড়েই তুলে ধরেন ইতিহাস। এই সুঁই-সুতা ব্যবহার করে অন্য ধরনের নজির গড়েছেন সিরীয় এক হস্তশিল্পী, নাম মুহাম্মদ মাহির হাজিরি। সাধারণ এই সুঁই-সুতা ব্যবহার করে তিনি প্রস্তুত করেছেন সম্পূর্ণ এক কোরআন শরিফ, যাকে বলা হচ্ছে- বিশ্বের প্রথম এমব্রয়ডারি কোরআন। খবর আনাদোলুর।
মুহাম্মদ মাহির হাজিরি নামের ওই সিরীয় কোরআন নকশা করার এ কাজ শুরু করেছিলেন ১৯৯৮ সালে। দীর্ঘ এক যুগ তিনি এ কাজে ব্যয় করেছেন। মুহাম্মদ মাহির বলেন, ৮ বছরে আমি এ কাজটি সম্পন্ন করেছি। বাকি ৪ বছর ব্যয় করেছি সম্পাদনা ও সংকলনে।
কুরআনের বিশুদ্ধতার ব্যাপারে তিনি জানান, কোরআনের পুরো প্রতিলিপি তৈরি করার পর সিরিয়ার একাধিক আলেমকে তা দেখিয়েছেন। নিজের ব্যাপারে তিনি বলেন, ছোটবেলায় হাতের লেখা এতটাই খারাপ ছিল যে, কী লিখেছেন তা তিনি নিজেই বুঝতেন না। পরে আল্লাহর কাছে অনেক দুআ করেছি। ফলে এখন আমার লেখা চমৎকার হয়েছে। ১২ খন্ডে প্রস্তুত এ প্রতিলিপিটি দৈর্ঘ্যে ৮০ সেন্টিমিটার ও প্রস্থে ৬০ সেন্টিমিটার। ১২ খন্ড মিলে এর ওজন দাঁড়িয়েছে ২০০ কিলোগ্রাম। পৃষ্ঠা ৪২৬টি।
সিরিয়া, ইরান, লেবানন, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও মিসরসহ তুরস্কের বেশ কয়েকটি প্রদর্শনীতে পবিত্র কুরআনের এই প্রতিলিপিটি উপস্থাপন করেছেন তিনি।
সিরিয়ার নাগরিক হলেও মুহাম্মদ মাহির এখন থাকেন তুরস্কের বুরসা প্রদেশে। মাতৃভূমি সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ থেকে রক্ষা পেতে ২০১৪ সালে মুহাম্মদ মাহির চলে যান তুরস্কে। তবে তার প্রতিভা থেমে থাকেনি। সুই-সুতায় তুলে ধরেছেন হাদিস শরিফের নানা অংশও।
মুহাম্মদ মাহির আরও অনেককে এই হস্তশিল্প বা ক্যালিওগ্রাফি শিখিয়ে যেতে চান, যেনো এ ধারা অব্যাহত থাকে।
"