প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৬ আগস্ট, ২০২২

মোদির সঙ্গে মমতার বৈঠক

চার দিনের দিল্লি সফরে আছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গতকাল শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তার সঙ্গে বৈঠকে বসেন মমতা।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও দেখা করার কথা মমতার। দিল্লি সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে মমতার সঙ্গে মোদি আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতাকর্মীদের মনোবলে ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করেন দলটির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রধানমন্ত্রী যেন মমতার সঙ্গে দেখা না করেন তার দাবিও জানিয়েছিলেন এই দুই নেতা।

এর আগেও দিল্লিতে অনেকবারই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতা। কংগ্রেস ও সিপিএম নেতারা অতীতে বহুবার অভিযোগ করেছেন, মোদি-মমতার রাজনৈতিক সমঝোতা নিয়ে। ব্রিগেডের জনসভা থেকে সিপিএম সারদা নিয়ে মোদি-মমতা সমঝোতার অভিযোগ করেছে।

কিন্তু অন্যবারের তুলনায় এবারের পরিস্থিতি পুরোপুরি আলাদা। রাজ্যে দুর্নীতিতে সিবিআই-ইডির তদন্ত চলছে। পার্থ-অর্পিতার একের পর এক সম্পত্তির হদিস পেয়েছে ইডি। বুধবারও তারা শান্তিনিকেতনে গিয়েছিল এরকমই কিছু বাড়িতে তল্লাশি চালাতে। অর্পিতার বাড়ি থেকে ৫০ কোটি টাকা ও প্রচুর গয়না উদ্ধার করেছে ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার ও প্রচুর গয়নার হদিস মেলার পরিপ্রেক্ষিতে মোদি-মমতার আসন্ন বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ।

পার্থ-অর্পিতা সিরিজ আরও লম্বা: পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূলের সাবেক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা উন্মোচনে কঠোর সমালোচনা করেছে বিজেপি। দলটির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, এটি কেবল শুরু। এখনো অনেক কিছু বাকি আছে। তিনি বলেছেন, এ দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পৃক্ততা আছে।

স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গত ২৩ জুলাই ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়ে এখন ইডির হেফাজতে আছেন। সঙ্গে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সহযোগী বা ‘বান্ধবী’ হিসেবে পরিচিত অভিনেত্রী অর্পিতা মুখার্জিও। শুক্রবার তাঁদের দুই দফায় ১২ দিনের ইডি হেফাজত শেষ হয়। এদিনই আবার তাঁদের তোলা হয় কলকাতার নগর দায়রা আদালতে গড়া বিশেষ বিচারকের এজলাসে।

এদিকে পার্থ-অর্পিতাসহ তৃণমূলের এই দুর্নীতির প্রতিবাদে কদিন ধরে কলকাতায় বিক্ষোভ মিছিল করে যাচ্ছে বিজেপি। গতকালও তাঁরা কলকাতার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করে অবিলম্বে এই দুর্নীতির দায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার পদত্যাগের দাবি তুলেছে। বিজেপি নেতারা বলেছেন, সামনে দিন আসছে মমতার সততার ফানুস ফেটে যাওয়ার। বাংলার মানুষ বুঝবে, কত সৎ রাজনীতি করেছেন তিনি! তারপরই খসে যাবে মমতার সততার মুখোশ।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সবে তো শুরু, দুটি এপিসোড হয়েছে। এখনো বহু বাকি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close