প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৪ জুন, ২০২২

সু চিকে নির্জন কারাবাসে পাঠাল জান্তা সরকার

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে গৃহবন্দি থেকে রাজধানী নেপিডোর এক নির্জন কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি কারাগারের অভ্যন্তরে স্থাপিত এক বিশেষ আদালত থেকে বিচারের শুনানিতে অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে বুধবার সু চির বিরুদ্ধে চলমান সব আইনি কার্যক্রম আদালতকক্ষ থেকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয় জান্তার আদালত। কোনো কারণ ব্যাখ্যা না করেই সামরিক সরকার এ নির্দেশ দেয়। খবর বিবিসির।

৭৭ বছর বয়সি নোবেল বিজয়ী সু চি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের পরপরই ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর থেকে রাজধানীর অজ্ঞাত স্থানে গৃহবন্দি অবস্থায় রাখা হয়। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের কমপক্ষে ২০টি মামলা দেওয়া হয়েছে। গত বছরের শুরুর দিকে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগসহ একের পর এক মামলা করা হয়।

সামরিক সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের ফৌজদারি আইন অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জান্তা সরকারের এমন পদক্ষেপে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। সু চির মামলা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নেপিডোর কারাগারে নতুন একটি বিশেষ আদালতে মামলাগুলোর শুনানি হবে। তা ছাড়া আদালত বসানোর জন্য নতুন একটি ভবন প্রস্তুত হয়েছে বলে বিচারক ঘোষণা দিয়েছেন।

সু চির ম্যারাথন বিচার প্রক্রিয়া এত দিন রুদ্ধদ্বার আদালতে চলেছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেবল এ ব্যাপারে সীমিত তথ্য দেয়। সু চির আইনজীবীদের এ নিয়ে বাইরে কথা বলা নিষিদ্ধ। তারা শুধু আদালত চলাকালে সু চির সঙ্গে কথা বলতে পারে।

সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ বেশ কয়েকটি মামলা চলছে জান্তা আদালতে। এর মধ্যে কয়েকটির রায় ঘোষণাও হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রমাণিত হলে আজীবন জেলেই কাটাতে হতে পারে সু চিকে। সু চির সাজাকে ন্যক্কারজনক আখ্যা দিয়ে তার মুক্তি দাবি করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে সামরিক বাহিনী বলছে, সু চিকে একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় তার প্রাপ্য আইনি সুবিধাই দেওয়া হচ্ছে। মিয়ানমারে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে এবং সু চিকে মুক্তি দিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে দেশটির জনগণ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close