প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্রের চালান ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার
ইউক্রেনে পাঠানো পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্র সহায়তার একটি গুরুত্বপূর্ণ চালান ধ্বংসের দাবি করেছে রাশিয়া। শনিবার রুশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়। তাদের দাবি, কিয়েভের পশ্চিমে জিটোমির অঞ্চলে সমুদ্র থেকে নিক্ষেপ করা ক্যালিবার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এসব ধ্বংস করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশের পাঠানো অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের বড় একটি চালানে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এসব অস্ত্র ডনবাস অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের কাছে পাঠানোর কথা ছিল।
রয়টার্সের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্রভাবে রাশিয়ার এই দাবির সতত্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
রাশিয়া আরও দাবি করেছে, কৃষ্ণ সাগরীয় উপকূল ওডেসার কাছে একটি জ্বালানি মজুতকেন্দ্রে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এছাড়া ইউক্রেনের দুটি এসইউ-২৫ যুদ্ধবিমান ও ১৪টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
এই যুদ্ধকে রাশিয়া বিশেষ সামরিক অভিযান হিসেবে দাবি করে আসছে। অভিযানের হালনাগাদ তথ্যে রাশিয়া আরও জানিয়েছে, ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি কমান্ড পোস্টে হামলা চালানো হয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়েছে পশ্চিমারা। রুশ সেনাবাহিনী চেষ্টা করছে, এগুলো ধ্বংস করতে। মস্কো বলছে, ইউক্রেনে পশ্চিমাদের পাঠানো অস্ত্র ও ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা এক প্রকার ‘ছায়াযুদ্ধ’।
মারিউপোলে বিজয়ের ঘোষণা রাশিয়ার : ইউক্রেনের বন্দর নগরী মারিউপোল দখলে মাসব্যাপী লড়াইয়ে বিজয় ঘোষণা করেছে রাশিয়া। মস্কোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শহরটির আজভস্টল কারখানায় কয়েক মাস অবস্থান নেওয়া সবশেষ যোদ্ধারা এখন আত্মসমর্পণ করেছেন।
কয়েক মাস ধরে এসব ইউক্রেনীয় সেনারা বিশাল কারখানা এলাকায় অবস্থান নিয়ে থেকেছে। এতে শহরটিতে রাশিয়ার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা আটকে যায়। শুক্রবার সবশেষ যোদ্ধাদের সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে যুদ্ধের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক অবরোধের অবসান হয়। একই সঙ্গে শহরটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৫৩১ ইউক্রেনীয় সেনা সরে যাওয়ায় শহর এবং এর স্টিল কারখানা এখন ‘সম্পূর্ণ স্বাধীন’ হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যোদ্ধাদের লুকিয়ে থাকার স্থান উদ্যোগটির ভূগর্ভস্থ স্থাপনা রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কারখানায় থাকা সবশেষ যোদ্ধাদের সরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ইউক্রেনীয় টেলিভিশনে তিনি বলেন, ‘আজ ছেলেদের সামরিক কমান্ড থেকে স্পষ্ট সংকেত দেওয়া হয়েছে যে তারা বাইরে যেতে পারে এবং জীবন রক্ষা করতে পারে।’
কয়েক সপ্তাহ ধরে আজভস্টল কারখানা সম্পূর্ণ ঘিরে রাখা হয়। রুশ বাহিনী সব মানবিক ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দেয়, ওই এলাকায় আকাশ থেকে বোমাবর্ষণ করে এবং সেখানে থাকা যোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণের দাবি জানায়।
"