প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৪ মে, ২০২২

পারমাণবিক হুমকিতে বৈশ্বিক নিরাপত্তা

ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল মন্তব্য করেছেন, বৈশ্বিক নিরাপত্তা এখন হুমকিতে রয়েছে। পারমাণবিক বোমা হামলার শিকার জাপানের হিরোশিমায় সফরে গিয়ে, ইউক্রেনে রুশ হামলা এবং সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণেই এমন শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন কথা বলছি তখন বৈশ্বিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে। পরমাণুবিক শক্তিধর রাশিয়া সার্বভৌমত্ব ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে। এছাড়া লজ্জাজনক এবং অগ্রহণযোগ্যভাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলে যাচ্ছে’।

ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। সম্প্রতি ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রেসিডেন্ট শঙ্কা জানিয়ে বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে পরমাণু হামলা চালাতে পারে, এজন্য পৃথিবীর সব দেশের প্রস্তুত থাকা উচিত।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অভিযানের শুরু থেকেই ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। একের পর এক হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দেশটির অনেক শহর। হামলায় ইউক্রেনের হাজারো বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যুদ্ধ বন্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও সাড়া পাওয়া যায়নি ক্রেমলিনের।

নিজেদের পশ্চিম উপকূলে চীনের একটি গোয়েন্দা জাহাজের উপস্থিতি শনাক্তের দাবি করেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের দাবি, একটি স্পর্শকাতর প্রতিরক্ষা স্থাপনার ৫০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে জাহাজটি শনাক্ত করা হয়েছে। জাহাজটির উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, চীনা নৌবাহিনীর জাহাজটির অবস্থান অস্ট্রেলিয়ার আঞ্চলিক জলসীমায় নয় কিন্তু এর উপস্থিতি উদ্বেগজনক। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এটা স্পষ্টত একটি গোয়েন্দা জাহাজ আর তারা আমাদের পর্যবেক্ষণ করছে এবং আমরাও তাদের ওপর নজর রাখছি’।

গত সপ্তাহে গোয়েন্দা জাহাজটি এক্সমাউথ এলাকার হ্যারল্ড ই হল্ট নৌ যোগাযোগ স্টেশন এলাকায় শনাক্ত করে অস্ট্রেলিয়া। এই স্টেশনটি অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রদের সাবমেরিন ব্যবহার করে থাকে। জাহাজটির উপস্থিতি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি অস্ট্রেলিয়ার চীনা দূতাবাস।

আগামী ২১ মে অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের প্রচারণায় বড় অংশ জুড়ে রয়েছে চীনের কাছ থেকে আসা জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডিউত্তন বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা আগ্রাসনমূলক কাজ। আমার কাছে বিশেষ করে মনে হচ্ছে কারণ এটি দক্ষিণ দিক থেকে এসেছে। এটি অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলে সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনার কাছাকাছি রয়েছে।’

বড় দুই বাণিজ্য সহযোগী দেশ অস্ট্রেলিয়া ও চীন। তবে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ইস্যুতে দেশ দুইটির সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনা প্রভাব নিয়ে সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close