প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৩ মে, ২০২২

শঙ্কিত লঙ্কানদের রাজধানী ত্যাগ

আর্থিক সংকটের প্রতিবাদে শ্রীলঙ্কায় চলছে সহিংস গণবিক্ষোভ। বিক্ষোভে সহিংসতা সবচেয়ে বেশি হচ্ছে রাজধানী কলম্বোতে। সহিংসতা এড়াতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তা শঙ্কায় কলম্বো ছাড়ছেন লঙ্কানরা। রাজধানী ছেড়ে তাঁরা গ্রামের উদ্দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হচ্ছে, গতকাল বৃহস্পতিবার যাত্রীবোঝাই বাসে শত শত লঙ্কানকে কলম্বো ছাড়তে দেখা গেছে। এদিকে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে।

বিক্ষোভ দমনে শ্রীলঙ্কায় সম্প্রতি কারফিউ জারি করা হয়। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে দেখা যায় সেনাসদস্যদের। এর মধ্যে মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় কারফিউ তুলে নেওয়া হয়। বেলা দুইটায় ফের কারফিউ জারি হওয়ার আগেই সকালের দিকে শহর ছাড়া মানুষের ঢল নামে বাসস্টেশনে। বেলা গড়াতে গড়াতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। রয়টার্স বলছে, সহিংসতা থেকে বাঁচতে রাজধানী কলম্বোর বাসিন্দারা তাঁদের গ্রাম বা নিজ শহরে ছুটতে শুরু করেছেন।

মহামারির ধাক্কা আর সরকারের কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ আর্থিক দুর্দশায় শ্রীলঙ্কা। আর্থিক অব্যবস্থাপনার কারণে কয়েক মাস ধরে খাবার, জ্বালানি ও ওষুধের তীব্র সংকটে পড়েছে দেশটি। এমন পরিস্থিতিতে সরকার পতনের দাবিতে এক মাসের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের সমর্থকেরা কলম্বোয় বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করলে বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়। বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। এতেও বিক্ষোভকারীরা আশ্বস্ত হতে পারেননি। আর্থিক অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি করে যাচ্ছেন তাঁরা।

বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকার সমর্থকদের হামলার পর থেকে বিক্ষোভ আরও উত্তাল হয়ে ওঠে। রাজধানী কলম্বোয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। যানবাহন ভাঙচুর ও তাতে আগুন ধরিয়ে দেন। রাজাপক্ষে পরিবারের অন্য সদস্যদের বাড়ি ও স্থাপনায়ও হামলা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close