প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তের কথা স্বীকার করেছে উত্তর কোরিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা স্বীকার করার পাশাপাশি বিষয়টিকে ‘গুরুতর জাতীয় জরুরি অবস্থা’ আখ্যায়িত করা হয়েছে। দেশজুড়ে কঠোর লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে করোনার অমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।

এই প্রথম করোনা শনাক্তের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করল দেশটি। এতে দেশটিতে সম্ভাব্য বড় ধরনের সংকটের বিষয়টিই নজরে এল। উত্তর কোরিয়া বিদেশি সাহায্য নিয়ে টিকাদান কর্মসূচি চালাতে রাজি হয়নি। দেশটি সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, মার্চ নাগাদ উত্তর কোরিয়ায় কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। দেশটির কোনো নাগরিককে টিকা দেওয়ার বিষয়েও কোনো দাপ্তরিক তথ্য নেই।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, ‘রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুতর জরুরি ঘটনাটি ঘটে গেছে। আমাদের জরুরি মহামারি প্রতিরোধ লড়াইয়ে একটা ধাক্কা লেগেছে। আমরা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দুই বছর তিন মাস এ মহামারি ঠেকিয়ে রেখেছিলাম।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্বরে ভুগছেন এমন লোকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয় গত ৮ মে। এতে অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন শনাক্ত হয়। এ উপধরন বিএ.২ হিসেবেও পরিচিত। তবে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও সংক্রমণের উৎস সম্পর্কে এতে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার ওয়ার্কার্স পার্টির সভায় সভাপতিত্ব করেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উন। এরপরই করোনা শনাক্ত হওয়ার এ খবর প্রকাশ করা হয়।

"