প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
ইরান সফরে আসাদ খামেনির সঙ্গে বৈঠক
ঘনিষ্ঠ আঞ্চলিক মিত্রদেশ ইরান সফর করেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আাসাদ। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে গতকাল রোববার বৈঠক করেছেন তিনি। বৈঠকে তেহরান ও দামেস্কের মধ্যকার বন্ধন দৃঢ় করার ব্যাপারে দুই পক্ষের আলোচনা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
২০১১ সালে সিরিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইরান সফরে আসাদ। বৈঠকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি আসাদকে বলেছেন, ‘যুদ্ধের আগে সিরিয়ার যে অবস্থা ছিল, তা এখন আর নেই। তবে সিরিয়ার সম্মান ও মর্যাদা আগের চেয়ে বেড়েছে। সবাই এ দেশটিকে ক্ষমতাবান হিসেবে বিবেচনা করে।’
বৈঠকে খামেনী বলেছেন, সিরিয়ার জনগণ ও সরকারের প্রতিরোধ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাদের সম্মান-মর্যাদা বাড়িয়েছে। বর্তমান সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ-পূর্ববর্তী সিরিয়ার পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সিরিয়ার সম্মান ও মর্যাদা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। সবাই এই দেশকে একটি শক্তি হিসেবে গণ্য করছে।
আসাদকে উদ্দেশ করে সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, আমাদের ও আপনাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর কিছু নেতা ইহুদিবাদী ইসরায়েলে নেতাদের সঙ্গে কফি খান। কিন্তু এসব দেশের জনগণই বিশ্ব কুদস দিবসে ব্যাপক সংখ্যায় রাস্তায় নেমে ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এটাই এখন এই অঞ্চলের বাস্তবতা।
আয়াতুল্লাহ খামেনী বলেন, আন্তর্জাতিক যুদ্ধে সিরিয়ার বিজয়ের পেছনে নানা কারণ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ হলো আপনার (বাশার আসাদ) উচ্চ মনোবল। এই মনোবল নিয়েই আপনি যুদ্ধের ক্ষতি পুষিয়ে দেশ পুনর্গঠন করতে সক্ষম হবেন।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানির কথা স্মরণ করে আয়াতুল্লাহ খামেনী বলেন, সিরিয়ার বিষয়ে সোলাইমানির বিশেষ ধরণের সমর্থন ও সহযোগিতা ছিল।
এসময় দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইরান ও সিরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক ও বন্ধন উভয় দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পর্ককে দুর্বল হতে দেওয়া যাবে না বরং যতটুকু সম্ভব জোরদার করতে হবে।
রোববার খামেনি ছাড়াও ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে বৈঠক করেছেন আসাদ। বৈঠকে রাইসি বলেছেন, সিরিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক দৃঢ় করাকে অগ্রাধিকার দেয় তার সরকার।
আসাদকে উদ্ধৃত করে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, ইরান ও সিরিয়ার মধ্যকার কৌশলগত বন্ধনের মধ্য দিয়ে আঞ্চলিকভাবে জায়নবাদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ায় ইরানের অর্থনৈতিক প্রভাব বাড়তে দেখা গেছে। আসাদ সরকারকে ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন আকর্ষণীয় ব্যবসায়িক চুক্তি করেছে দেশটি।
নুর নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এরই মধ্যে তেহরান ছেড়ে সিরিয়ার উদ্দেশে রওনা করেছেন আসাদ।
"