প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৬ জানুয়ারি, ২০২২

নভেল করোনাভাইরাস

ভারতে এক দিনে সংক্রমিত ২ লাখ ৬৮ হাজার

ভারতে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ৬৮ হাজার জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট ৩ কোটি ৬৭ লাখ মানুষের করোনা শনাক্ত হলো। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে ভারতের ২৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। এই ধরনের সংক্রমণ সংখ্যা ৬ হাজার ৪১। দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা মোট শনাক্তের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। খবর এনডিটিভির।

গতকাল শনিবার সকালে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হালনাগাদ হিসাব অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৬। এ ছাড়া বিগত সপ্তাহে করোনা শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৮৪। টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর দেশজুড়ে ১৫৬ কোটির বেশি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। ভারতে শেষ ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত আরো ৪০২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ভারতে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোর অন্যতম মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৩ হাজার ২১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন আরও ১৯ জন। রাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত ৭১ লাখ ২৪ হাজার ২৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মহারাষ্ট্রে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী ২ লাখ ৬৫ হাজার ৩৮৭ জন।

গত শুক্রবার দিল্লিতে প্রতি ১০০ জনের করোনা পরীক্ষায় ৩০ দশমিক ৬৪ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। এ দিন ভারতের রাজধানীর ২৪ হাজার ৩৮৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। চলমান করোনার ঢেউয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের ৭৫ শতাংশ টিকা নেননি বলে জানিয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন।

ভারতে করোনার ঊর্ধ্বমুখী এই সংক্রমণের মধ্যে গতকাল দেশের মানুষকে কোভিড-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি, মাস্ক পরা ও টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলমান বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে সুস্থ থাকা ও রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা বাড়ানোর গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরেছেন তিনি। ভারতে চলতি বছরের শুরু থেকে করোনা দৈনিক শনাক্ত আড়াই লাখ ছাড়ালেও দেশটিতে বন্ধ নেই ধর্মীয় জনসমাগম। মকরসংক্রান্তি উৎসব উপলক্ষে লাখো মানুষ সাগর ও গঙ্গায় স্নানের উদ্দেশ্যে সমবেত হওয়ায় করোনার সংক্রমণ আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়লো পশ্চিমবঙ্গে : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি থাকবে বলে নবান্নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

তবে বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে বাড়তি কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। এবার বিয়ে ও মেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিয়েবাড়ি বা বিয়ে সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে একই সময়ে সর্বোচ্চ ২শ জন কিংবা অনুষ্ঠান স্থলের মোট আসন সংখ্যার অর্ধেকের মধ্যে যেটা কম, সেই সংখ্যক মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন।

এছাড়া খোলা আকাশের নিচে মেলার আয়োজন করা যাবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে কঠোর ভাবে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। তবে স্কুল, কলেজ বন্ধই থাকছে। জিম, সুইমিং পুল, সেলুন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।

অর্ধেক হাজিরা নিয়ে চলবে সরকারি অফিস। তবে আগের দেওয়া ছাড় বজায় রেখে ৫০ শতাংশ ক্রেতা নিয়ে সেলুন খোলা থাকবে। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলাচল করবে। নৈশ বিধিনিষেধের সময়সীমাও একই থাকছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close