প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৫ জানুয়ারি, ২০২২

সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে পারে গাঁজা-আফিম!

আফিম, গাঁজায় থাকা এমন দুটি রাসায়নিক যৌগের হদিস মিলেছে যেগুলো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত রুখে দিতে পারে। দেখা গেল, ওই দুটি যৌগ ভাইরাসের বাইরের স্তরে থাকা শুঁড়ের মতো দেখতে স্পাইক প্রোটিনের বিভিন্ন অংশকে দ্রুত বেঁধে ফেলতে পারে। ফলে, মানবশরীরে ঢুকে ভাইরাস আর কোষে নোঙর ফেলতে পারে না। সংক্রমণও হয় না।

আমেরিকার ওরেগন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এই খবর দিয়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘জার্নাল অব ন্যাচারাল প্রোডাক্টস’-এ। বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, এর ফলে আগামী দিনে এই দুটি যৌগকে ব্যবহার করে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নতুন ওষুধ আবিষ্কার হতে পারে।

মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর শরীরে ঢুকে শুঁড়ের মতো দেখতে এই স্পাইক প্রোটিন দিয়েই আশ্রয়দাতার দেহকোষে নোঙর ফেলে করোনাভাইরাস। ভাইরাসকে সেই নোঙর ফেলতে সাহায্য করে আশ্রয়দাতার কোষের বাইরের স্তরে থাকা এসিই-২ রিসেপ্টর প্রোটিন।

গবেষকরা দেখেছেন, আফিম, গাঁজায় প্রচুর পরিমাণে থাকা দুটি রাসায়নিক যৌগ মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর দেহকোষে করোনাভাইরাসকে নোঙর ফেলতে বাধা দেয়। ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে বেঁধে ফেলে।

আফিম, গাঁজায় থাকা ওই দুটি রাসায়নিক যৌগ আদতে দুটি অ্যাসিড। একটির নাম ‘ক্যানাবিগেরোলিক অ্যাসিড (সিবিজিএ)’। অন্যটি, ‘ক্যানাবিডায়োলিক অ্যাসিড (সিবিডিএ)’।

গবেষণাটি করা হয়েছে গবেষণাগারে। কোনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখন পর্যন্ত চালানো হয়নি। গবেষকরা দেখেছেন, আফিম, গাঁজায় থাকা দুটি রাসায়নিক যৌগ সিবিজিএ এবং সিবিডিএ খুব দ্রুত করোনাভাইরাসের আলফা ও বিটা রূপ (ভ্যারিয়্যান্ট)-গুলোর সংক্রমণ রুখে দিতে পারছে। ভাইরাসের ওই রূপগুলোর স্পাইক প্রোটিনকে এত তাড়াতাড়ি বেঁধে ফেলছে যে ভাইরাসটি মানব দেহকোষে নোঙর ফেলতেই পারছে না। ফলে, সংক্রমণ হচ্ছে না। গবেষকরা অবশ্য এও জানিয়েছেন, যারা নিয়মিত গাঁজা, আফিম সেবন করেন করোনার আলফা, বিটা রূপের সংক্রমণ তাদের হবে না, তা কিন্তু নয়। তবে আফিম, গাঁজায় থাকা ওই দুটি রাসায়নিক যৌগ দিয়ে ভবিষ্যতে কোনো ওষুধ বানানো হলে তা করোনা সংক্রমণ রুখতে যথেষ্টই কার্যকরী হতে পারে। খবর আনন্দবাজার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close