প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১২ জানুয়ারি, ২০২২

ইউক্রেন দখলের ইচ্ছা নেই রাশিয়ার

জেনেভা বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বাস মস্কোর

ইউক্রেন দখলের কোনও লক্ষ্য নেই বলে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে রাশিয়া। দুই দেশের কর্মকর্তারা জেনেভায় বৈঠকের পর মস্কোর পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়েছে। সোমবার অনুষ্ঠিত সাত ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠকে উভয় পক্ষ উত্তেজনা নিরসনের উদ্যোগ নিতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু আলোচনায় বড় ধরনের কোনও অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ১ লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এর ফলে রাশিয়া ইউক্রেন দখল করতে অভিযান শুরু করতে পারে আশঙ্কা ছড়ায়। এমন কিছুর বিরুদ্ধে রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি জানায় পশ্চিমা দেশগুলো।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে অভিযান চালায় তাহলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। আর রাশিয়া ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেছিল, মস্কোর মুখোমুখি হওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকিকে যুক্তরাষ্ট্রের হালকাভাবে নেওয়া উচিত হবে না।

বৈঠকের পর রাশিয়ার উপণ্ডপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আমাদের সহকর্মীদের ব্যাখ্যা করে জানিয়েছি যে ইউক্রেনে হামলার কোনও পরিকল্পনা, কোনও লক্ষ্য নেই আমাদের।

তিনি বলেছেন, বৈঠকে মার্কিন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে, সব সেনা মোতায়েন ও যুদ্ধের মহড়া আমাদের ভূখণ্ডের ভেতরে হয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিকে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে পশ্চিমের সাথে মস্কোর সংঘর্ষ বাধার ঝুঁকিগুলোকে একেবারে গুরুত্বহীন মনে না করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে রাশিয়া।

বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান এই আলোচনাকে ‘অকপট এবং স্পষ্ট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

ইউক্রেন সংকটের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া আলোচনার সুযোগ পেল। সংকট সমাধানের ব্যাপারে বিরাট সুযোগ ছিল দুপক্ষের সামনে। কিন্তু আলোচনা পরিপূর্ণতা পায়নি। রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সরবে কি-না কিংবা ন্যাটো পূর্ব ইউরোপ থেকে সরবে কি-না তা স্পষ্ট হয়নি।

রাশিয়া দাবি করেছিল, ন্যাটোকে একটি কাস্ট-আয়রন গ্যারান্টি দেওয়া উচিত, তারা কখনই ইউক্রেনকে সদস্যপদ দেবে না। আলোচনায় রাশিয়ার এ দাবি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের জন্য সামরিক মহড়া এবং ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা সীমিত করার জন্য কিছু প্রস্তাব করে। কিন্তু রাশিয়া তাতে সাড়া দেয়নি। তবে আশাবাদীরা বলছেন, দরকারি আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া জোর দিয়েই বলেছে ইউক্রেন আক্রমণ করার কোনো ইচ্ছা বা পরিকল্পনা তাদের নেই। আর হতাশাবাদীরা বলছেন, মার্কিন কর্মকর্তারা এখনও নিশ্চিত নয় যে, রাশিয়া এই সংকটের কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার বিষয়ে সিরিয়াস কি-না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close