প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১১ জানুয়ারি, ২০২২

ভারতে ফের করোনার দাপট

ভারতে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে শনাক্ত ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭২৩ জন। একই দিন প্রাণঘাতী ভাইরাসে মারা গেছেন ১৪৬ জন। খবর এনডিটিভির।

আক্রান্তের হার গতকালের চেয়ে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। এরমধ্যে মহারাষ্ট্রে সবেচেয়ে বেশি আক্রান্ত। নতুন করে রাজ্যটিতে ৪৪ হাজার ৩৮৮ জনের নমুনায় করোনা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মারা গেছেন ১২ জন। এদিকে আগামী মাসে উত্তরপ্রদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্বাচন। তার আগেই পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ২৪ ঘণ্টায় উত্তরপ্রদেশে শনাক্তের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়েছে।

সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে দায়ী করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে আক্রান্তের অনেকেই ওমিক্রনে সংক্রমিত। এ পর্যন্ত দেশটির ২৭টি রাজ্যের ৪ হাজারের বেশি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে ভারতে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে সরকার।

ত্রিপুরায় ফের রাতে কারফিউ : করোনা মোকাবিলায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে আবারও রাতে কারফিউ জারি করা হয়েছে, যা গতকাল সোমবার থেকে কার্যকর হয়। জানা গেছে, ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন থেকে ক্রমেই বাড়ছিল রাজ্যের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তা ছাড়া গত তিন দিনে আরো তীব্র হয়েছে সংক্রমণের মাত্রা।

রবিবার ছুটির দিনে রাজ্যটিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২০৬ জনে। তাই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাতে কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী মহাকরণে এক সংবাদ সম্মেলন বলেন, সোমবার রাত ৯টা থেকেই শুরু হচ্ছে রাতের কারফিউ। কারফিউ চলবে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে এই কারফিউ চলবে ভোর ৫টা পর্যন্ত।

মন্ত্রী বলেন, কারফিউ চলাকালীন আগের মতো জারি থাকবে বিধিনিষেধ। তা ছাড়া প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। তবে জরুরি প্রয়োজনে যদি বের হতেই হয় তবে বাধ্যতামূলক মাস্কসহ করোনার বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে বলেও জানান তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে গত ২৭ ডিসেম্বরই এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল ত্রিপুরা রাজ্যের প্রশাসনকে। যদিও রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমনভাবে আমলে নেওয়া হয়নি তা। অন্য দিকে গত ৪ জানুয়ারি সরকারিভাবে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে জনসমাবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি।

প্রধানমন্ত্রীর এই সমাবেশে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের সমাগম হয়। সমাবেশের পর থেকেই রাজ্যে দ্রুত বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। এমনকি সরকারিভাবে যে রিপোর্ট দেওয়া হয় তাতে আক্রান্তদের মধ্যে ৯০ শতাংশই পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার। বিরোধী দল (সিপিআইএম) জানায়, শক্তি প্রদর্শন করতে গিয়ে মানুষকে বিপদের মুখে ফেলে এখন নীরব আছেন তারা।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, প্লেনে এখন থেকে যারাই অন্য রাজ্য কিংবা বিদেশ থেকে আসবেন তাদের সবার ক্ষেত্রেই বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে করোনা পরীক্ষা। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও আপাতত এটি করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন কি না তা এখনো জানা যায়নি। প্রশাসন আক্রমণের তীব্রতা দেখেই ঝুঁকি না নিয়ে গতকাল থেকে এই কারফিউর কথা জানিয়ে দেয়। গত শুক্রবার ত্রিপুরা রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৩ জন। এরপর শনিবার তা বেড়ে হয় ১৫৪ জনে। অবশেষে রবিবার তা ২০০ ছাড়িয়ে দাঁড়ায় ২০৬ জনে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close