প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২২ নভেম্বর, ২০২১

সৌদি আরবের বেশ কটি শহরে হুতিদের হামলা

সৌদি আরবের বেশ কয়েকটি শহরে ১৪টি ড্রোন হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। স্থানীয় সময় শনিবার এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার পর ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ১৩টি লক্ষ্যবস্তুতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট পাল্টা হামলা চালিয়েছে। খবর আলজাজরিার।

ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা শনিবার দাবি করে, তারা ১৪টি ড্রোনের মাধ্যমে সৌদির বিভিন্ন শহরে হামলা চালিয়েছে। যেসব স্থানে হামলা চালানো হয়েছে, তার মধ্যে বন্দর নগরী জেদ্দায় অবস্থিত রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর স্থাপনা রয়েছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে হুতি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারি বলেন, তারা সৌদি আরবের জেদ্দার আরামকোর তেল শোধনাগারে হামলা চালিয়েছে। রিয়াদ, জেদ্দা, আবাহ, জিজান ও নিজরান শহরও তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল। তিনি আরো বলেন, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসন এবং ইয়েমেনে তাদের আধিপত্য ও অপরাধ ঠেকাতে এ হামলা চালানো হয়েছে।

হুতি বিদ্রোহীদের ড্রোন হামলার দাবি নিয়ে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি এখনো। তবে সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, গত শনিবার ইয়েমেনে জোটের অভিযানে রাজধানী সানায় অস্ত্রের ডিপো, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ড্রোন যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাদা ও মারিব প্রদেশেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা প্রায় সময়ই সৌদির বিভিন্ন অঞ্চলে রকেট ও ড্রোন হামলার দাবি করে আসছে। সম্প্রতি সৌদি জোটের হামলায় ২০০ হুতি বিদ্রোহী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এ হামলার প্রতিশোধ নিতেই হুতি বিদ্রোহীরা পাল্টা হামলা চালালো।

তবে হুতিদের হামলার দাবির বিষয়ে কিছু জানায়নি সৌদি জোট। সৌদির নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট গতকাল দিনের শেষভাগে জানিয়েছে, তারা ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযানকালে ১৩টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। ২০১৪ সালে হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে উৎখাত করে দেশটির উত্তরাঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নেয়। ২০১৫ সালে ইয়েমেনি সরকারকে সহযোগিতা এবং বিদ্রোহীদের দমনের লক্ষ্যে ইয়েমেন যুদ্ধে যোগ দেয় সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। তবে তাদের এই অভিযানে ইয়েমেনের হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। উদ্বাস্তু হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close