প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৫ অক্টোবর, ২০২১

ইরানের বিরুদ্ধে চড়া সুর ইসরায়েলের

পরমাণু চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির পথে হাঁটা ইরানকে নিয়ে আবারও চড়া সুরে কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা। গত বুধবার তেহরান প্রসঙ্গে তাদের এ কঠোর অবস্থান দেখা যায় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এদিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, ইরান যদি ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে সব ধরনের বিকল্পের কথাই বিবেচনা করা হচ্ছে। ইসরায়েল বলেছে, তেহরানকে মোকাবিলায় যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার তাদের আছে।

আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইরানবিষয়ক সমন্বয়ক এনরিক মোরা বলেছেন, ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহত রাখায় ‘সংকটকাল চলে এসেছে’।

২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত ওই জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) চুক্তিতে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিতে লাগাম টানার শর্তে তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের আগের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিন বছর আগে চুক্তিটি থেকে ওয়াশিংটনকে সরিয়ে আনেন এবং ইরানের ওপর আগের সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। পরে তেহরানও চুক্তিতে তার জন্য রাখা শর্তের লঙ্ঘন শুরু করে। চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করতে চলতি বছর ভিয়েনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কর্মকর্তাদের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা হলেও ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তা বন্ধ রয়েছে। পরোক্ষ আলোচনা ফের শুরুতে রাইসি এখন পর্যন্ত নারাজ। ‘ইরানের দিক থেকে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সব বিকল্প খতিয়ে দেখছি আমরা,’ ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদকে সঙ্গে নিয়ে করা এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

একই সংবাদ সম্মেলনে লাপিদ বলেছেন, ‘ইরান যদি মনে করে বিশ্ব তাদের থামানোর ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছে না আর তারা বোমা বানানোর দিকে এগিয়েই যাবে, তাহলে যেকোনো মুহূর্তে, যেকোনো উপায়ে পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখে ইসরায়েল।’

তেল আবিব এর আগে ইরাক ও সিরিয়ায় বিভিন্ন পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়েছিল।

ছয় বছর আগে ইরানের সঙ্গে ওই পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close