প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৫ অক্টোবর, ২০২১

বিশ্বে আরো সাড়ে ৭ হাজার মৃত্যু

বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৭ হাজার ৪৮১ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃত্যু হলো ৪৮ লাখ ৮৮ হাজার ৭০৮ জনে। এছাড়া নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮০ জন। এতে বিশ্বব্যাপী করোনা শনাক্ত ছাড়িয়েছে ২৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬ হাজার ৭১৪ জনে। অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টা ৪ লাখ ৩০ হাজার ৮০৪ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। মোট সুস্থ হলেন ২১ কোটি ৭২ লাখ ৪৬ হাজার ১ জন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯৯ হাজার ২০৯ জনে। আর ১ হাজার ৮১৩ জন মারা গেছেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৪৬ হাজার ২১৭ জনে। আর ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭৬২ জন মারা গেছেন। তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৪০ লাখ ১৯ হাজার ৬৮০ জন। আর এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৪৬৯ জনের।

তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ১৫ লাখ ৯৭ হাজার ৯৪৯ জনের। এর মধ্যে ৬ লাখ ১ হাজার ৬৪৩ জন মারা গেছেন। তালিকার পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা ও স্পেন। অপরদিকে তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৯ নম্বরে। দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৭ হাজার ৭৩০ জন। আর ১৫ লাখ ৬৪ হাজার ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ লাখ ২৫ হাজার ৬৭৩ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এরপর দ্রুত দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ ঘোষণা করে। ওই বছরেরই ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এ রোগে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয় ওই মাসেরই ১৮ তারিখে।

সংক্রমণ বাড়ল নিউজিল্যান্ডে : ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিউজিল্যান্ডে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার এক লাফেই দৈনিক সংক্রমণ অনেকটা বাড়তে দেখা গেছে। নতুন সংক্রমণের সবই অকল্যান্ড শহরে। ফলে আগামী সপ্তাহেই দেশটির সবচেয়ে বড় এই শহরে লকডাউন আরো বাড়ানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

আগামী সোমবার পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের আওতায় থাকবে অকল্যান্ডের ১৭ লাখ মানুষ। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। করোনা মহামারি শুরুর পর যে কয়েকটি দেশ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয় তার মধ্যে অন্যতম ছিল নিউজল্যান্ড। কিন্তু দেশটিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হতে শুরু করেছে।

উপপ্রধানমন্ত্রী গ্র্যান্ট রবার্টসন বলেন, অকল্যান্ডে সংক্রমণ বাড়ার বিষয়টি অপ্রত্যাশিত নয়। তবে সেখানে খুব দ্রুতগতিতেই সংক্রমণ বাড়ছে। তিনি বলেছেন, বিধিনিষেধ না মেনে বিভিন্ন বাড়িঘরে লোকজনের সমবেত হওয়ার কারণেই এমনটা ঘটছে।

নতুন করে দেশটিতে ৭১ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যার সবই অকল্যান্ডে। এক দিন আগেই এই সংখ্যা ছিল ৫৫। নিউজিল্যান্ডে ২৪ লাখের বেশি মানুষ ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, ৯০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হলেই লকডাউন তুলে নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কর্মকর্তারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close