প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

৯৫% আফগান পরিবার ক্ষুধার্ত : ডব্লিউএফপি

কর্মহীনতা বৃদ্ধি, অর্থের অভাব আর নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আফগানিস্তানে প্রতিদিন ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রতিদিন নতুন করে এই অভাবীদের কাতারে যুক্ত হচ্ছে। বুধবার জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, প্রথমবারের মতো গ্রামাঞ্চলের মানুষের মতো একই হারে খাদ্য অনিশ্চয়তায় পড়ছে শহরের মানুষও।

ডব্লিউএফপির সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, আফগানিস্তানের মাত্র পাঁচ শতাংশ পরিবারে প্রতিদিন খাওয়ার মতো পর্যাপ্ত খাবার রয়েছে। এছাড়া অর্ধেক পরিবার জানিয়েছে, বিগত দুই সপ্তাহ আগে তাদের অন্তত একবেলার খাবার বন্ধ হয়ে গেছে।

ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং প্রতিনিধি ম্যারি-এলেন ম্যাকগ্রোয়ার্থি বলেন, ‘গত তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের ভয়াবহ খরার মধ্যে আফগানিস্তানে অর্থনীতির অবাধ পতন আকস্মিক এবং নির্মম। এই ভয়াবহ সময়ে আফগান জনগোষ্ঠীকে সহায়তায় আমরা সবকিছুই করছি।’

আফগানিস্তানের মধ্যবিত্ত শ্রেণিও খাবারের কষ্টে আছে। ডব্লিউএফপি বলছে, যেসব পরিবার প্রধানের অন্তত উচ্চ-মাধ্যমিক বা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা রয়েছে তাদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত খাবার কিনতে পারছেন।

কম-শিক্ষিত পর্যায়ের মানুষের মধ্যে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। তবে ক্ষুধার এই বিস্তার অভূতপূর্ব। এর মধ্য দিয়ে সংকটের ভয়াবহতার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

একজন রোজগারকারী সপ্তাহে গড়ে একদিন কাজ পাচ্ছেন। ফলে মূল্যবৃদ্ধির সময়ে তাদের পর্যাপ্ত খাবার কেনা সম্ভব হচ্ছে না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০২০ সালের তুলনায় রান্নার তেলের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আবার গমের দাম বেড়েছে ২৮ শতাংশ।

ডব্লিউএফপি প্রতিনিধি ম্যারি-এলেন ম্যাকগ্রোয়ার্থি বলেন, ‘দুই পর্যায়ের জরুরি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার গতি বাড়িয়েছে ডব্লিউএফপি। প্রথমত, আমরা মারাত্মক ক্ষুধা এবং অপুষ্টি এড়াতে সবচেয়ে দুর্গত মানুষের সহায়তা অব্যাহত রেখেছি আর দ্বিতীয়ত, আমরা স্থানীয় খাবার উৎপাদন এবং তা বাজারে নেওয়ার সক্ষমতা বাড়াচ্ছি। এছাড়া অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে আমরা স্বল্পমেয়াদি কাজের সুযোগ এবং পরিবারগুলোকে অর্থ পাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close