প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৪৭ লাখ ছাড়াল

করোনাভাইরাসে এখনো বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। ঘাতক এই ভাইরাসে এ পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে ৪৭ লাখ মানুষের। তবে কিছুটা কমে এসেছে করোনার তা-ব। রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৭৬৪ জনের। এই এক দিনে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৭৮৪ জনের। যা আগের দিনের সংক্রমণ শনাক্ত ও প্রাণহানির তুলনায় কিছুটা কম। খবর এএফপি ও বিবিসির।

আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য মতে, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৭ লাখ ৪৪ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৫ হাজার ৪১২ জনের। সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ২০ কোটি ৫৫ লাখ ২২ হাজার ৩০ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার ৭৬৪ জন। এর আগের দিন করোনায় মারা যান ৮ হাজার ৫০১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৭৮৪ জনের। এর আগের দিন করোনা শনাক্ত হয় হয়েছে ৫ লাখ ৬৫ হাজার ২৩৩ জনের। করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৮ লাখ ৬৬ হাজার ৮০৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ৯১ হাজার ৫৬২ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ২২৬ জন।

এরপরে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৪৭ হাজার ১০ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬৯ জন। আর ৩ কোটি ২৬ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫১ জন সুস্থ হয়েছেন।

তালিকার তৃতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে শনাক্তের সংখ্যা ২ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার ৩২৫। এর মধ্যে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৫৪৭ জন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ২ লাখ ৮০ হাজার ২৯৪ জন। তালিকায় এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, তুরস্ক, ইরান, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, স্পেন ও ইতালি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশের অবস্থা আবারও খারাপ হচ্ছে।

এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ এবং শিশুদেরও টিকা দেওয়া শুরু করেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close