প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকার চড়া মূল্য দিয়েছে পাকিস্তান

আফগানিস্তান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকতে গিয়ে পাকিস্তানকে চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আরটি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন দেওয়া ছিল পাকিস্তানের জন্য একটি বড় ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত। এজন্য আমাদের চড়া মূল্য দিতে হয়েছে।’

২০২১ সালের ১৫ আগস্ট প্রায় বিনা বাধায় কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিমানভর্তি অর্থ নিয়ে দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আশরাফ গনি। এর কিছু দিনের মাথায় দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে নিজ দেশের সেনাদের ফিরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।

অভিযোগ রয়েছে, তালেবানের এমন উত্থানে সহায়তা দিয়েছে পাকিস্তান। সম্প্রতি মার্কিন সিনেটেও দেশটির ব্যাপারে এমন অভিযোগ উঠে। এ প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন, ‘আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয়ের দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটি অত্যন্ত পীড়াদায়ক। একজন পাকিস্তানি হিসেবে মার্কিন সিনেটরদের বক্তব্য আমার ভালো লাগেনি। আমি গভীরভাবে মর্মামত।’

ইমরান খান বলেন, আফগানিস্তান ইস্যুতে তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে দুই দফায় সহায়তা করেছে। প্রথমে আশির দশকে, যখন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালিয়েছিল। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে সোভিয়েতবিরোধী লড়াইয়ের জন্য মুজাহিদিনদের প্রশিক্ষণ দেয় পাকিস্তান।

২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের সময় পাকিস্তানের ক্ষমতায় ছিলেন জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। সদ্য ক্ষমতা দখল করা এই সেনাশাসকের জন্য মার্কিন সমর্থন অপরিহার্য ছিল। আফগানিস্তানে অভিযান সফল করতে যুক্তরাষ্ট্রেরও ইসলামাবাদকে প্রয়োজন ছিল।

ইমরান খান বলেন, ‘সবচেয়ে বড় মুশকিলটা বাধে এখানেই। যে মুজাহিদিনদের আইএসআই প্রশিক্ষণ দিয়েছিল, তাদেরই ফের একই আইএসআইয়ের তরফ থেকে বলা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মানে হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ। মুজাহিদিনরা তখন ইসলামাবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তারা পাকিস্তানকেও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করতে আরম্ভ করে। এখানে আমেরিকাকে সহায়তা করতে গিয়ে পাকিস্তান নিজে বিপদে পড়েছে। এর জন্য ইসলামাবাদকে এখনো ভুগতে হচ্ছে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close