প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৬ আগস্ট, ২০২১

দলিত শিশু ধর্ষণ-হত্যায় উত্তাল দিল্লি

নয় বছরের এক দলিত শিশুকে ‘ধর্ষণ ও খুনের’ ঘটনায় উত্তাল ভারতের রাজধানী দিল্লি। গত রবিবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনার পর থেকে চলছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। দিল্লি ক?্যান্টনমেন্টের পুরোনো নাঙ্গল এলাকায় দলিত শিশুটিকে ধর্ষণ করে তাকে শ্মশানের চিতায় পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার শত শত বিক্ষোভকারী নাঙ্গল শ্মশান এলাকার বাইরে প্রতিবাদে শামিল হয়ে এ ঘটনায় দায়ীদের ?মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে।

স্থানীয় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার দাবিও তুলেছে তারা। এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অপকর্মের শিকার হওয়াদের পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগ করেছে বিক্ষোভকারীরা। জনতার বিক্ষোভ-প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন রাজনৈতিক নেতারাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছেয়ে যাচ্ছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায়।

বিবিসি জানায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বুধবার ছুটে গেছেন শিশুটির বাড়িতে। ন্যায়বিচার পাইয়ে না দেওয়া পর্যন্ত পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তারা। কংগ্রেস দল থেকে বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে। অপরাধের নিন্দা না জানানোর জন্য মোদিকে দুষছে তারা। সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে বিস্তর প্রশ্ন। দলিত শিশুর পরিবারটির বাস নাঙ্গল শ্মশান এলাকার কাছেই। রবিবার সন্ধ্যায় শিশুটির মা তাকে শ্মশান চত্বরে পাঠায় ঠাণ্ডা পানি আনতে। সেখানকার কুলার মেশিন থেকে পানি নিয়ে শিশুটি আর বাড়ি ফেরেনি। শ্মশানেই তাকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। এরপর পরিবারকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে তার লাশ তোলা হয় চিতায়। মেয়ের খোঁজে মা শ্মশান চত্বরে হাজির হয়েছিলেন। সেখানে মেয়ের লাশ পোড়াতে বাধা দিলে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং হুমকি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। সে সময় স্থানীয়রা ঘটনা টের পেয়ে ঘটনাস্থলে জড়ো হন।

শিশুর বাবা-মা এ ঘটনার জন্য হিন্দু পুরোহিত এবং আরো তিনজনকে দায়ী করেছেন। শিশুটির মা জানান, তিনি পুলিশকে ফোন করতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়েছিল। পুরোহিত ও তার সঙ্গীরা তখন বলেছিলেন, পুলিশ জানলে মামলা হবে। ময়নাতদন্ত করালে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চুরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথাও বলা হয়। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর দিল্লি পুলিশ অভিযুক্ত পুরোহিত ও তার তিন সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে। ততক্ষণে শিশুটির দেহ প্রায় পুরোই পুড়ে গিয়েছিল। ধর্ষণ ও হত্যার আলামত নষ্ট করতেই অপরাধীরা এ কাজ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close