প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১১ এপ্রিল, ২০২১

বিশ্বে মৃত্যু ছাড়াল ৩০ লাখ ৫৩ হাজার

বিশ্বে নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ। বাড়ছে মৃত্যুও। এদিকে, মরণঘাতী এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে টিকা নিয়েও কাটছে না সংশয়। টিকা নেওয়ার পরে ভারতে ১৮০ জনের মৃত্যুর ঘটনা এই সংশয় আরো বাড়িয়ে দিয়েছে খোদ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদেরও। এই সংশয়ের মধ্যেই গতকাল শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে গত একদিনে বিশ্বে ১৩ হাজার ৯০২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে করোনায়। এ নিয়ে মোট ৩০ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩০ জনের মৃত্যু ঘটল গতকাল পর্যন্ত। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৮ হাজার ৬১২ জন।

সর্বশেষ তথ্য বলছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মারা গেছেন ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫৬ জন। এ ছাড়া শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ১৭ লাখ ১৭ হাজার ৪০৪ জনের শরীরে। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৪২ লাখ ৭২ হাজার ৮৬৯ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। আক্রান্ত ও মৃত্যু বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৩২ লাখ ৮৬ হাজার ৩২৪ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৩ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৭ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১৭ লাখ ৩২ হাজার ১৯৩ জন।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। এশিয়ার মধ্যে ভারত করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ।

২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৪ জনের শরীরে ভাইরাস ধরা পড়েছে। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ১৪ হাজার বেশি। এতে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩২ লাখ ৫ হাজার ৯২৬ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৬ জনের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭৯৪ জনের। এটি চলতি বছরে সর্বোচ্চ। এছাড়া এই সময়ে করোনামুক্ত হয়েছেন ৭৭ হাজার ৫৬৭ জন। যা দৈনিক আক্রান্ত থেকে অর্ধেকেরও কম।

ফলে দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৩১ জনে। চলতি বছরে প্রথমবার অ্যাকটিভ কেস পেরোল ১০ লাখ। আর এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৮৫৯ জন। টিকা নিয়েছেন ৯ কোটি ৮০ লাখ ৭৫ হাজার ১৬০ জন।

এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে টিকা নেওয়ার পরও। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশেরই মৃত্যু হয়েছে টিকা নেওয়ার তিন দিনের মধ্যে।

করোনাভাইরাস শনাক্তের তালিকায় চারে ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪৯ লাখ ৩৯ হাজার ২৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৯৮ হাজার ৬৫ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৩ হাজার ৬৩৯ জন।

২০১৯-এর ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথমবারের মতো করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। এরই মধ্যে মহামারি করোনায় বিশ্বে ১৩ কোটি ২৫ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ২৮ লাখ ৭৬ হাজারের বেশি মানুষ। তবে যেই চীন থেকে মহামারিটি শুরু হয় সেখানে কমে যায় সংক্রমণের মাত্রা। চীনের মূল ভূখ-ে এখন পর্যন্ত ৯০ হাজার ৩০৫ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৬ জনের।

তবে সম্প্রতি দেশটিতে নতুন করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। নতুন রোগীদের মধ্যে স্থানীয় যারা, তাদের সবাই চীনের ইউনান প্রদেশের রুলি শহরের বাসিন্দা। এরই মধ্যে শহরটির বাসিন্দাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ব্যাপক হারে শুরু হয়েছে করোনা পরীক্ষা। একই সঙ্গে শহরটিতে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

রুলি শহরে শনাক্ত হওয়া রোগীদের শরীরের করোনাভাইরাসের সঙ্গে মিয়ানমারের ভাইরাসের মিল পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে, সীমান্ত এলাকা হওয়ায় মিয়ানমার থেকে চীনের এই অঞ্চলে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। ইউনান প্রদেশের অন্যতম প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট রুলি। লাওস, মিয়ানমার ও ভিয়েতনামের সঙ্গে এই প্রদেশের চার হাজার কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close