প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৫ জানুয়ারি, ২০২১

চীনের খনি থেকে জীবিত উদ্ধার ১১ জন

চীনের একটি খনি থেকে অবশেষে ১১ শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তারা মাটির ৬০০ মিটার নিচে আটকা পড়েছিলেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে ওই শ্রমিকদের জীবিত উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর বিবিসির।

টেলিভিশনের ফুটেজে প্রথম উদ্ধার হওয়া শ্রমিককে দেখা গেছে। তিনি চোখ খুলে তাকাতে পারছিলেন না। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি হুশান সোনার খনিতে বিস্ফোরণের পর থেকেই শ্রমিকরা সেখানে আটকা পড়েছিলেন। ওই খনিটি শানডং প্রদেশে অবস্থিত। দুর্ঘটনার পর থেকেই ভেতরে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।

পরবর্তী সময়ে উদ্ধারকারী দল একটি সরু টানেল দিয়ে শ্রমিকদের কাছে ওষুধ এবং খাবার সরবরাহ করেছিল। কী কারণে ওই খনির ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি। খনিতে বিস্ফোরণের সময় ২২ জন শ্রমিক সেখানে আটকা পড়েন। আটকে পড়া বাকি ১০ জনের অবস্থা এখন কেমন সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।

বেঁচে যাওয়া শ্রমিকরা উদ্ধারকারীদের জানান, তাদের অবস্থানের আরো ১০০ মিটার গভীরে একজন শ্রমিকের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন। কিন্তু পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

ঝাওজিন নামের ওই খনিটি শানডং উকাইলং ইনভেস্টমেন্টের। এটি চীনের চতুর্থ বৃহত্তম সোনার খনি। চীনের বিভিন্ন খনিতে প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি ও সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই এসব খনির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ফলে প্রতি বছরই বহু শ্রমিক বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় চোংকিং শহরে একটি খনিতে আটকা পড়ে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। ডায়াসুইডং কয়লা খনিটিতে মোট ২৪ জন আটকা পড়েছিল। কয়েকজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বেশির ভাগ শ্রমিক কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাসের কারণে প্রাণ হারান। গত বছরের সেপ্টেম্বরেও আরো একটি দুর্ঘটনা ঘটে। সে সময় সংজাও কয়লা খনিতে কার্বন মনোঅক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close