প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
দুই নারী বিচারককে গুলি করে হত্যা কাবুলে
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের দুই নারী বিচারক। কর্মস্থলে যাওয়ার পথেই হামলার শিকার হন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের মুখপাত্র আহমাদ ফাহিম কায়ুম। গতকাল রবিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। একে দেশজুড়ে চলমান সহিংসতার অংশ বলছে দেশটির সরকার। এ হত্যাকান্ডের জন্য তালেবানকে দায়ী করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে তারা তা অস্বীকার করেছে। আফগানিস্তান থেকে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা তুলে নেওয়া হচ্ছে, পেন্টাগনের এমন ঘোষণার দুদিন পরেই হামলা হলো। খবর বিবিসি ও এএফপির।
আদালতের মুখপাত্র আহমাদ ফাহিম জানান, হামলায় তাদের গাড়িরচালক গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে গাড়িতে থাকা দুই বিচারক গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। তবে নিহতদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
কাবুলের সর্বোচ্চ আদালতে দুই শতাধিক নারী বিচারক কাজ করে থাকেন। হামলাকারীদের এখনো আটক করা সম্ভব হয়নি। অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি দেশটির কোনো গোষ্ঠী।
দুই বিচারক হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, হত্যা, সন্ত্রাস আর আতঙ্ক আফগান সমস্যার সমাধান নয়। এসব হত্যাকা- শান্তি আনবে না।
২০১৭ সালে আফগানিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় অন্তত ২০ জন প্রাণ হারান, আহত হয়েছিলেন ৪০ জনের বেশি মানুষ।
গত কয়েক মাস ধরে রাজধানী কাবুলসহ বিভিন্ন জায়গায় রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, চিকিৎসক ও বিচারকসহ সাধারণ মানুষের ওপর আশঙ্কাজনক হারে হামলার ঘটনা বেড়েছে। প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে। দেশজুড়ে হামলার ঘটনার একটির দায়ও স্বীকার করেনি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান।
আফগানিস্তানে দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধ বন্ধে শান্তি ফেরাতে দেশটির সরকার ও তালেবানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। তালেবানের প্রথম শর্ত, আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। এরই অংশ হিসেবে দেশটি থেকে অর্ধেক সেনা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তারপরও থামছে না হামলার ঘটনা।
"