প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৮ জানুয়ারি, ২০২১

ভারতে টিকা নিতে দ্বিধান্বিত মানুষ

পূরণ হয়নি প্রথম দিনের লক্ষ্যমাত্রা

ভারতে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কর্মসূচির প্রথম দিন ১ লাখ ৯১ হাজার মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন। প্রথম দিনে প্রায় তিন লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা ছিল, তবে মানুষের দ্বিধাদ্বন্দ্বের কারণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। খবর এনডিটিভির।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার সাড়ে ১০টার দিকে ভারতে করোনার টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। কর্মসূচি সফল করতে সরকার ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে তিন হাজারের বেশি টিকাকেন্দ্র স্থাপন করে। বিভিন্ন টিকাকেন্দ্র থেকে দুই ধরনের টিকা দেওয়া হয়েছে। একটি সেরাম ইনস্টিটিউটে প্রস্তুত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’, অন্যটি ভারত বায়োটেকে তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকা।

সেরাম পুনেভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে, ভারত বায়োটেক হায়দরাবাদের প্রতিষ্ঠান। চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারত সরকার ‘কোভিশিল্ড’ ও ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকার অনুমোদন দেয়। প্রথম দিনে প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ১০০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য স্থির করা হয়। সে হিসাবে প্রথম দিনে প্রায় তিন লাখ মানুষের টিকা গ্রহণের কথা ছিল। তবে দিনশেষে দেখা যায়, ১ লাখ ৯১ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

সরকারি সূত্রগুলো বলছে, টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে লোকজনের মধ্যে যথেষ্ট দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ কারণে প্রথম দিনের লক্ষ্য পূরণ হয়নি। কর্মকর্তারা বলেছেন, এদিক দিয়ে প্রথম দিনে তারা সফল যে টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে কাউকে হাসপাতালে যেতে হয়নি। টিকা নিয়ে কোনো রকম অপপ্রচার বা গুজবে কান না দিতে ভারতবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে তিনি টিকা নেওয়া সত্ত্বেও সবাইকে করোনার স্বাস্থ্যবিধিসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ মেনে চলতে বলেছেন। প্রথম ধাপে দেশটি স্বাস্থ্যকর্মীসহ সম্মুখসারিতে থাকা বিভিন্ন জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত তিন কোটি মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। পরের ধাপে ২৭ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে বয়স্ক ও দীর্ঘ মেয়াদে বিভিন্ন রোগে ভোগা ব্যক্তিরা টিকা পাবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close