আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার লড়াইয়ে নিহত ২৩

দুনিয়া জুড়ে বিদ্যমান করোনা মহামারির মধ্যেই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে দুই প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘ বিবাদের জেরে গত রোববার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। আজারবাইজানের ভূখ- হলেও আর্মেনিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গত রোববারের সংঘাতে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৮ জন আর্মেনিয়ার নাগরিক। বাকি পাঁচজন আজারবাইজানের নাগরিক বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে ১৬ আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীও রয়েছে বলে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। বাকি দুজন বেসামরিক নাগরিক। বিচ্ছিন্নতাবাদী দলটির নেতারা জানিয়েছেন, প্রাণহানি ছাড়াও তাদের শতাধিক সদস্য আহত হয়েছে। আজারবাইজানে নিহত পাঁচজনের সবাই একই পরিবারের সদস্য। আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গোলাবর্ষণে তারা নিহত হয়। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, গত রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হামলা চালায় আজারবাইজান। এর জবাবে আর্মেনিয়ার বাহিনী প্রতিপক্ষের দুটি হেলিকপ্টার, তিনটি ড্রোন ভূপাতিত ও তিনটি ট্যাংক ধ্বংস করেছে। অন্যদিকে আজারবাইজান বলছে, হামলার শিকার হওয়ার পর তারা পাল্টা হামলা চালিয়েছে।

১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে।

১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে হলেও

ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা

নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। মূলত এ নিয়েই সংঘাতের সূত্রপাত। নতুন করে সংঘাতের জন্য আর্মেনিয়াকে দায়ী করেছে আজারবাইজান।

অন্যদিকে তুরস্কের পক্ষ থেকে আর্মেনিয়ার আচরণকে আজারবাইজানের বিরুদ্ধে উসকানি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়ায় আর্মেনীয়দের প্রতি দেশটির শাসকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, যেসব নেতারা আর্মেনিয়াকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন এবং নাগরিকদের পুতুলের মতো ব্যবহার করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আর্মেনীয়দের রুখে দাঁড়ানো উচিত। টুইটারে এরদোয়ান লিখেছেন, দখল ও নির্মমতার বিরুদ্ধে বিশ্বকে আজারবাইজানের পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

এ যুদ্ধ থেকে তুরস্ককে দূরে রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আর্মেনিয়া। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার প্রতি সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। দুই দেশের মধ্যে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। আর দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে ইরান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close