দিনদুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে দু’ডাকাত। ডাকাতের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন গৃহকর্তা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ, র‌্যাব, সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে গৃহকর্তাকে উদ্ধার করেন। ডাকাতরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যে ভবনে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে সেটি দেশের খ্যাতনামা আবুল খায়ের গ্রুপের আবুল খায়েরের মেয়ের জামাতার বলে জানা গেছে। গৃহকর্তার নাম লোকমান হাকিম। তিনি তেল প্রস্তুতকারী ইর্স্টান রিফাইনারি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডাকাতিতে অংশ নেওয়া যুবকদের মধ্যে কেউ কেউ ওই ভবনে আগে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন বায়েজিদ ও আকাশ। তারা দুজনই ওই বাসায় কাজ করতেন। পূর্বপরিকল্পিতভাবেই সুযোগ বুঝে সকাল ১১টার দিকে তারা ওই ভবনে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে ৯৯৯-এ ফোন করে। এসময় বাসার বাইরে লোকজনের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ভবনে কিছু একটা হচ্ছে আন্দাজ করতে পেরে পুলিশে ফোন করে। ঘটনা বুঝে তিন ডাকাত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন একজনকে ধরে ফেলে। বেলা পৌনে ১টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা হাজির হন। সেনাবাহিনীও একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। দুপুর সোয়া ২টার দিকে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে অভিযান চালিয়ে আরো এক ডাকাতকে আটক করে। এর হাতে জিম্মি ছিল গৃহকর্তা লোকমান হাকিম। তাকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

অভিযান শেষে নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে আমরা এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। তিনি ডাকাতির কবলে পড়া বাড়ির মালিক।’

ডাকাতি করতে যাওয়া লোকজন ওই ভবনে কাজ করতেন বলে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘যা বুঝতে পারছি ডাকাতির উদ্দেশ্যেই তারা বাসায় প্রবেশ করেছে। আমাদের অনুসন্ধান অব্যাহত আছে। দেখি আরো কিছু পাওয়া যায় কি না। যারা ডাকাতির জন্য বাসায় প্রবেশ করেছে তারা এখানেই (বাসায়) কাজ করত।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডাকাতদের একজন ভিকটিমকে বাথরুমে বন্দি করে রাখে। তখন ভিকটিমকে উদ্ধার এবং চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করার জন্য সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়।

"