নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫

টিউলিপ জেনেটিক্যাল লাইন ক্রস করতে পারেননি : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যুক্তরাজ্যের একজন এমপি দুর্নীতি করেছেন- এমন উদাহরণ পাওয়া প্রায় অসম্ভব। টিউলিপ সিদ্দিকী লন্ডনে বড় হয়েছেন, লেখাপড়া করেছেন। ইংল্যান্ডের একজন এমপি দুর্নীতি করবেন- এটা স্বপ্নেও ভাবা যায় না। কিন্তু তার জিন হচ্ছে বাংলাদেশের শেখ পরিবারের। ওখানে লেখাপড়া করে এমপি হওয়ার পরও তার জেনেটিকাল যে লাইন, সেই লাইন ক্রস করতে পারেননি। আর করতে পারেননি বলেই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণগুলো বেরিয়ে আসছে।

গতকাল শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এ টি এম খালেদের শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে রাশিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ৫০০ কোটি ডলার চুক্তি করেছেন। আর সেখান থেকে টিউলিপ ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংক থেকে সেই টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এটা একদম সুস্পষ্ট গণমাধ্যমগুলোয় এসেছে।’ রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি অপমানিত করেছে। মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবদান তুলনামূলক কম। দলটির ভেতর রাজনৈতিক উন্নয়নের কথা নেই। তারা মনে করত তাদের রাজনীতি বাইরে গেলেই সবাই অপরাধী।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দুর্নীতির বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। তারা উন্নয়নের নামে টাকা পাচার করেছে। এ সময় ভারত কী কারণে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।’

বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ‘আজকে শেখ হাসিনা কী স্ট্যাটাসে ভারতে আছে? শেখ হাসিনার দুইটা পাসপোর্টই বাতিল হয়েছে। তারপরও ভারত তাকে রাখে কীভাবে? এত বড় একজন দুর্নীতিবাজ ছাত্র-জনতা হত্যাকারীকে ভারত রাখে কীভাবে?’ রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগেরই একজন ঘনিষ্ঠ লোক বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান একজন বড় নেতা ছিলেন; কিন্তু তার পরিবারের প্রতি তিনি দুর্বল ছিলেন। তিনি তার ছেলে ভাগ্নেদের কন্ট্রোল করতে পারেনি। জাহানারা ইমাম শেখ হাসিনার কাছের লোক ছিলেন তিনি এসব বলে গেছেন। দেশের কীসের উন্নয়ন, দেশপ্রেম সবকিছুতে চাঁদাবাজি করে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রতিষ্ঠিত করে গেছে। তারা উন্নয়ন উন্নয়ন করত, উন্নয়নের মধ্য দিয়েই তো টাকা পাচার করা যায়। উন্নয়ন কী তার বাবার টাকা দিয়ে করেছেন? উন্নয়নের নামে বিদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে এসে পাচার করেছেন। লুটপাট করেছেন।’

এ টি এম খালেদ হত্যার বিচার দাবি করে তিনি আরো বলেন, ‘এতদিন হয়ে গেল তাদের বিচার এখন হয়নি কেন? এ দ্বায় আপনাদের কৃষিবিদদেরও আছে। আমাদের সবার আছে। এরকম একজন প্রখ্যাত ছাত্রনেতা মুক্তিযোদ্ধা তার হত্যার বিচার হলো না- এটা অত্যন্ত কষ্টের বিষয়।’ কৃষিবিদ ড. রাশেদুল হাসান হারুন ও ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামিম, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন বিপ্লবসহ নেতারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close