সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
বেক্সিমকোর বন্ধ ১৬ কারখানা খোলার দাবিতে মানববন্ধন

ব্যাংক সুবিধা চালুসহ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে সাভারের আশুলিয়ায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানার কমপক্ষে ৪০ হাজার শ্রমিক সড়কের দীর্ঘ এলাকাজুড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সাভারের নবীনগর থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত মহাসড়ক এলাকায় প্রায় ১৫ কিমি লম্বা কিলোমিটার এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। প্রায় তিন ঘণ্টা স্থায়িত্ব ছিল এ কর্মসূচি। এ সময় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিজিবির অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন ছিল। এদিন সকাল থেকেই বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬ কারখানার প্রতিবাদী শ্রমিকের ঢল নামে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে। মানববন্ধনে অংশ নিতে শ্রমিকদের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় দোকানদারসহ বাড়িওয়ালারাও। রওশানা ভিলা নামে এক বাড়িওয়ালা বলেন, বেক্সিমকো চালু থাকলে আমাদের এলাকা সচল থাকে। আমাদের অনেকেই ব্যাংক লোন নিয়ে বাড়ি করেছি ভাড়াটিয়া না থাকলে আমরাও তো দেউলিয়া হয়ে যাব। চক্রবর্তী এলাকার এক মুদি দোকানি বলেন, এ এলাকায় আমার একটা ছোট্ট মুদি দোকান। এ দোকানেই আমার সংসার চলে। বেক্সিমকোর লোকজন আমার দোকান থেকে বাকি খায়। কারখানা বন্ধ থাকায় বাকি পরিশোধ করতে পারছে না। এতে আমিও ব্যাংক লোনের টাকা ঠিকভাবে দিতে পারছি না। কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর মো. জামাল উদ্দিন বলেন, বেক্সিমকো অনেকদিন যাবত চলছে না। হাজার হাজার লোক এখানে কাজ করে। কারখানা বন্ধ থাকায় আমরা সবাই বেকার হয়ে পড়েছি। আমাদের বেতনভাতা ঠিকমতো না হলেও বাড়িওয়ালারা তো ছাড় দেয় না। আজকের মানববন্ধনের উদ্দেশ্য কোম্পানির এলসি খুলে দেওয়া এবং বন্ধ কারখানা চালু করে আমাদের কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আমেনা আক্তার নামে শ্রমিক বলেন, কারখানা বন্ধ থাকায় আমরা খুব কষ্টে আছি। দোকানদার আর বাড়িওয়ালাদের বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে পারছি না। এ নিয়ে প্রতিদিন কথা শুনতে হয়। অন্য কারখানায় আমাদের চাকরিও হচ্ছে না। হারুন অর রশিদ বলেন, গত দুই মাস যাবত বেক্সিমকো বন্ধ থাকায় আমরা প্রায় ৪০ হাজার নারী-পুরুষ বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমরা কারো দয়ায় বেঁচে থাকতে চাই না। আমাদের কোম্পানির এলসি খুলে দেওয়াসহ ব্যাংক সুবিধা চালু করে খারখানা খুলে দিলেই এতগুলো লোকের কর্মসংস্থান চালু হবে। এ বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করি। তা না হলে হাজার হাজার মানুষের জীবিকা চালানো কষ্ট হয়ে যাবে।
"