মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রবাসী বাবার শখ পূরণ
দুই ছেলেকে একসঙ্গে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বিয়ে
কথায় আছে, শখের তোলা নাকি ৮০ টাকা! সেটি বাস্তবেও রূপ দিলেন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের কালাই সরদারের চর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মো. লিটন সরদার। শখ পূরণে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে একদিনে বিয়ে দিয়েছেন দুই ছেলেকে।
গতকাল শনিবার দুপুর ২টায় হেলিকপ্টার নিয়ে বিয়ে করতে যান লিটন সরদারের বড় ছেলে ও মেজ ছেলে আবদুল্লাহ্। কনেদের একজনের বাড়ি নিজেদের গ্রামেই এবং আরেক জনের বাড়ি পাশের বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের কানুরগাঁও গ্রামে। এ সময় হেলিকপ্টারে বরযাত্রা দেখতে এলাকায় শিশুসহ শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ ভিড় করেন। জানা গেছে, মো. লিটন সরদার দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে কুয়েত প্রবাসী। তার বড় ছেলে মো. রায়হান স্টাম্পফোর্ট ইউনিভার্সিটিতে ও মেজ ছেলে এম. আই আবদুল্লাহ মাদারীপুর সরকারি কলেজে পড়াশুনা করেন। বড় ছেলের বউ কালাই সরদারের চর গ্রামের জসিম হাওলাদারের মেয়ে মহুয়া আক্তার কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের ছাত্রী এবং মেজ ছেলের বউ বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের কানুরগাঁও গ্রামের হারুন অর রশীদ হাওলাদারের মেয়ে ইসরাত রশীদ মিম মাদারীপুর সরকারি কলেজে অনার্স ১মবর্ষে পড়ালেখা করেন।
মূলত বাবা-মায়ের শখ পূরণ করতেই দুই ভাইয়ের একসঙ্গে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করার উদ্যোগ বলে জানান দুই ভাই। এতে তারাও খুব আনন্দিত। কাছ থেকে হেলিকপ্টারে এমন বিয়ে দেখতে পেয়ে খুশি এলাকাবাসীও। অত্র এলাকায় হেলিকপ্টারে করে বিয়ে এটাই প্রথম হওয়ায় আশপাশের বিভিন্ন এলাকার লোকজন ভিড় করেন এ বিয়ে দেখতে।
কুয়েত প্রবাসী লিটন সরদার জানান, তিন ছেলের মধ্যে দুই জন কাছাকাছি বয়সের হওয়ায় পরিবারের দীর্ঘদিনের শখ ছিল ছেলেরা বড় হলে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বিয়ে করাবেন। অবশেষে নিজেদের শখ পূরণ করতে পেরে তারা খুবই আনন্দিত।
আর মেয়েদের পরিবারও জামাই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসায় ভীষণ গর্বিত। মেয়েকে বরপক্ষ হেলিকপ্টারে করে নিতে এসেছে এতে তাদেরও আনন্দের সীমা নেই।
দিন দিন মানুষের চাহিদার পরিবর্তন হচ্ছে। একসময় পালকি করে গ্রাম অঞ্চলগুলোতে বিয়ে করা হলেও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন হেলিকপ্টারে করেও বরযাত্রী যায়। অদূর ভবিষ্যতে হয়ত সামর্থ্য অনুযায়ী অনেক পরিবারই চাইবে এমন ব্যতিক্রমী বিয়ের আয়োজন করতে।
"