রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

  ০৮ জানুয়ারি, ২০২৫

পাহাড়ে হানিকুইন জাতের আনারস চাষে ঝুঁকছেন কৃষক

নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস থেকেই বাজারে পাওয়া যায় রাঙামাটির হানিকুইন জাতের আগাম আনারস। এ জাতের আনারস রসালো ও মিষ্টি। এ কারণে ক্রেতাদের চাহিদাও ব্যাপক। বাজারে ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা হানিকুইন জাতের আনারস চাষে ঝুঁকছেন।

জেলার বিভিন্ন পাহাড়ে বাড়ছে হানিকুইন জাতের আগাম আনারস চাষ। পাহাড়ি টিলায় চাষ হচ্ছে আগাম জাতের এ হানিকুইন জাতের আনারস। এ আনারস রসালো ও সুমিষ্ট হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদাও অনেক বেশি। রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় হানিকুইন জাতের এ আনারসের চাষ বেশি হলেও জেলার অন্য উপজেলার পাহাড়ি এলাকাতেও চাষ হচ্ছে হানিকুইন।

প্রতি বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস থেকেই পাওয়া যায় হানিকুইন জাতের আগাম আনারস। মৌসুমের আগে এ জাতের আনারস উৎপাদন হওয়াতে কৃষকরা অনেকটাই লাভবান এবং আনারসের ভালো দাম পাচ্ছে। এতে পাহাড়ে হানিকুইন জাতের আগাম আনারস চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

মৌসুম শুরুর বেশ আগেই বাজারে আসতে শুরু করেছে পাহাড়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সর্বাধিক উৎপাদিত ফল আনারস। বর্তমানে নানিয়ারচরে উৎপাদিত ‘হানিকুইন’ জাতের আনারস সংগ্রহ করতে এখানে ছুটে আসছেন আনারসের পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। আর পাইকারদের হাত হয়েই এ আনারস ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে।

নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকার আনারস চাষি মো. মামুন মিয়া জানান, পাহাড়ি এলাকায় কৃষকরা আগাম জাতের হানিকুইন আনারসের ফল তুলতে শুরু করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে আমার বাগানে উৎপাদিত প্রতিটি আনারস পাইকারদের কাছে বাগানেই ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি করেছি। তিনি তার বাগান থেকে এবার প্রায় ১০ লাখ টাকার হানিকুইন আনারস বিক্রি করবেন বলে জানান। কৃষকরা বলছেন, আনারসের মৌসুম শুরু না হলেও হানিকুইন জাতের আগাম আনারস চাষ করে তারা লাভবান হচ্ছে। বিগত কয়েক বছর ধরে এভাবেই পাহাড়ি টিলায় আনারস চাষ করছেন কৃষকরা। এতে মৌসুমে উৎপাদিত আনারসের চেয়ে আগাম হানিকুইন আনারস চাষ করে লাভবান হচ্ছেন তারা।

নানিয়ারচর কৃষি কর্মকর্তা তপু আহমেদ জানান, আধুনিক পদ্ধতি ও পরিমিত হরমোন ব্যবহারে মৌসুমের আগেই মিলছে হানিকুইন জাতের আগাম আনারস। তিনি জানান, রাঙ্গামাটির অন্য উপজেলার চেয়ে নানিয়ারচর উপজেলাতেই হানিকুইন জাতের আনারসের আগাম চাষ হচ্ছে। হানিকুইন চাষ অধিক লাভবান হওয়াতে পাহাড়ের ঢালুতে এ আনারস চাষ দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শসহ সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি জানান, এ বছর নানিয়ারচরে ১ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে আনারস আবাদ করা হয়েছে। আশা করি কৃষকরা এবারো ভালো ফলন পাবে।

হানিকুইন জাতের এ আনারস উৎপাদনের জন্য কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করছেন একধরনের হরমোন। মৌসুমে আনারস চাষে যেখানে চাষিদের লোকসান গুনতে হত, সেখানে মৌসুমের বাইরে আগাম আনারস চাষে বাড়তি লাভের মুখ দেখছেন কৃষক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close