পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, আমাদের সমাজে গতিশীলতা আনতে শিক্ষার পদ্ধতিগুলোয় উদ্ভাবনী জ্ঞানকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, নিজেদের গুণগতমান, দক্ষতা ও ক্ষমতায়নসহ উদ্ভাবনী শক্তিতে পারদর্শী হতে হবে। একটি টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্ভাবনী শিক্ষার পদ্ধতিগুলো খুবই প্রয়োজন। কোয়ালিটি এডুকেশনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে পৃথিবীর আধুনিক মানুষের সঙ্গে চিন্তা চেতনার সমন্বয় করাতে হবে।

রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স সেমিনার হলে ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে গত বুধবার আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পার্বত্য অঞ্চলের প্রকৃতি ও পরিবেশকে আধুনিক উপায়ে সাজানোর প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় পরিবেশকে সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় বাঁশ খুবই কার্যকরী উপাদান। বাঁশকে কৃষিজ সম্পদ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যায় কি না, তা দেখা উচিত। উপদেষ্টা বলেন, কাপ্তাই লেকের পানি সংরক্ষণ ও ব্যবহারে আমাদের আরো যত্নশীল হতে হবে। নদী-নালা-ঝিরির পানি সঠিক পদ্ধতিতে ধরে রাখা ও ব্যবহারে আরো উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া বের করা দরকার। পরিবেশ রক্ষায় সকলের সচেতনতার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এতে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসের ওপর বক্তব্য দেন ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা) সুদত্ত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই।

আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসের ২০২৪ সালের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য পর্বতমালার সমাধান-উদ্ভাবন, অভিযোজন ও যুবসমাজ’। উল্লেখ্য, প্রতি বছর ১১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উদযাপন করে আসছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর আগে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ঢাকার বেইলি রোডের পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স ভবনের পঞ্চম তলায় জাদুঘর ও সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেন।

"