প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
বাড়ছে শীতের প্রকোপ
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও শীত বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী তিন দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এ ছাড়া আজ বুধবার সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং কাল বৃহস্পতিবার দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা পর্যালোচনায় শিগগিরই উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে পূর্বাভাসে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শীতের খবর জানাচ্ছেন সংবাদ প্রতিনিধিরা-কালাই (জয়পুরহাট) : জয়পুরহাটে গত তিন দিন ধরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। সোমবার থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না। রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। বিপাকে পরেছে স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় পূর্ববতী ২৪ ঘণ্টায় জয়পুরহাটসহ পাশ্ববর্তী নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের শনিবার ও রবিবার তাপমাত্রা ছিল ৯.৮ এবং ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দুই দিন ঘন কুয়াশা পড়ে। উত্তরের হিমেল বাতাসে শীত তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে।
জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসচালক কেরামত আলী বলেন, কুয়াশার কারণে দিনেরবেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। ঠান্ডায় যাত্রীও কমে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অল্পদিনের মধ্যে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।
পাঁচশিরা বাজারে অটোভ্যানচালক বালা মিয়া বলেন, হাড়কাঁপানো শীতে সবাই ঘরে রয়েছে, আমাকে পেটের দায়ে ভ্যান নিয়ে রাস্তায় বের হতে হয়েছে। ভ্যান চালিয়ে সারা দিনে যেটুকু পাই, তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। শীত নিবারণের গরম কাপড় কি দিয়ে কিনব।
নাটোর : শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা নাটোর। হিমেল বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় ঘর থেকে বের হতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট বেড়েছে। শীতের কাপড় না থাকায় তারা ঘুমাতে পারছেন না। শিশু ও বয়স্করা বিপাকে পড়েছেন।
মেহেরপুর : মেহেরপুরে তাপমাত্রা ক্রমেই কমছে। ঘন কুয়াশায় ছেয়ে গেছে গোটা জেলা। সোমবার ও মঙ্গলবার সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শ্রমজীবীরা জীবন জীবিকা নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন। আড়াইশ শয্যার মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, যাদের অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধ।
"