সিলেট প্রতিনিধি

  ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

তামাবিল স্থলবন্দর

ওজন জটিলতায় কয়লা-পাথর আমদানি বন্ধ

পাথর ও কয়লাবাহী ট্রাকে কাদামাটি ও আবর্জনা থাকে। কিন্তু ওজনের বেলায় এসব বিবেচনায় নেওয়া হয় না। ওয়েট স্কেলে কড়াকড়ি ওজন করা হয়। এতে কাদামাটি ও আবর্জনার কারণে ট্রাকপ্রতি ১০ হাজার টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। লোকসানে থাকা ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা আমদানি বন্ধ রেখেছেন। এমন অবস্থা চলছে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে। এর ফলে ১৬ দিন ধরে কয়লা-পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে, শুল্ক বন্দরটিতে স্থবিরতা নেমে এসেছে। সরকার কোটি টাকার রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করলেও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না আমদানিকারকরা। যে কারণে বাধ্য হয়ে আমদানি বন্ধ রেখেছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস সিলেটের ব্যস্ততম তামাবিল স্থলবন্দর। তবে প্রায় পক্ষকাল ধরে কোনো ব্যস্ততা নেই সেখানে। ক্ষতির সম্মুখীন ব্যবসায়ীরা কাদামাটি মিশ্রিত কয়লা-পাথর আমদানি বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানালেও কাস্টমস কর্মকর্তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। ওয়েট স্কেলে কড়াকড়ি ওজন নির্ণয় জটিলতায় অবসান ঘটাননি। এরকম বিদ্যমান পরিস্থিতিতে স্থানীয় কয়েক শতাধিক বিনিয়োগকারী আমদানি বন্ধ রাখায় দিনে লাখ লাখ টাকা রাজস্ববঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আমদানিকারকরা বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।

তামাবিল স্থলবন্দরের আমদানিকারক মেসার্স মিসবাহ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মিসবাহউল আম্বিয়া বলেন, আমরা সাধারণ ব্যবসায়ীরা স্থলবন্দরের ওজন জটিলতায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এ অবস্থায় আমাদের ব্যবসা দূরে থাক, বাড়ি থেকে এনে লোকসানের টাকা দিতে হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সুরাহা পাইনি।

তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কয়লা-পাথর আমদানি বন্ধ থাকলেও অন্য পথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। মিডিয়ান পেপার, চাল, মিথানল এসব পণ্যসামগ্রী আমদানি অব্যাহত রয়েছে। অবশ্য এখানকার মূল পণ্য পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। শুনেছি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আশঙ্কায় কয়লা-পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। আমরা কয়লা-পাথর ব্যবসায়ীদের সমস্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন।

এদিকে, সিলেটের সুতারকান্দি, জকিগঞ্জ ও জুড়ি শুল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ভারতের করিমগঞ্জ (বর্তমান শ্রীভূমি) সনাতনী ঐক্য মঞ্চের নেতাকর্মীরাসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।

সিলেটের বিয়ানীবাজারের সুতারকান্দি শুল্ক স্টেশনের কয়লা-পাথর ব্যবসায়ী মেসার্স হুসাম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. কমর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ (বর্তমান শ্রীভূমি) থেকে হিন্দু ঐক্যমঞ্চের নেতাকর্মীরা সুতারকান্দি স্থলবন্দরের ওপারে বিক্ষোভ করেছে, জানতে পারি। বিক্ষোভের কারণে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের এলসি করা মালামালের গাড়ি ফেরত আসে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close