গাজীপুরের টঙ্গীর জোড় ইজতেমায় আবদুল হাকিম আকন্দ (৭২) নামে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার প্রথম পর্বের আয়োজক শুরায়ী নেজাম, তাবলিগ জামায়াত বাংলাদেশের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান এই সংবাদ নিশ্চিত করেন। তিনি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার দুলালী গ্রামের আবদুল হামিদ মাতব্বরের ছেলে। এদিকে, সিরাজগঞ্জে আখেরি মোনাজের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে আঞ্চলিক ইজতেমা।

জানা যায়, জোড় ইজতেমায় প্রায় দুই লক্ষাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে ১৮ দেশের ২৫৭ জন বিদেশি শীর্ষ মুরুব্বি রয়েছেন। তারা হলেন- ইয়ামেনি ২৭, নরওয়ে ১, পাকিস্তান ৬১, সৌদি ১৪, সিরিয়া ১, অস্ট্রেলিয়া ১৩, ইংল্যান্ড ৯, কিরিগিজস্থান ১৭, সেরালিয়োন ২, জার্মানি ২, জাপানি ২, আমেরিকা ২, ইতালি ৫, কানাডা ৩, আফগানিস্তান ৭, ইন্ডিয়া ৮৯, চায়না ১ ও দুবাই ১ জন।

আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট বিদেশি ২৫৭ জন মেহমান উপস্থিত আছেন। বর্তমানে মজমায় উপস্থিত প্রায় ২ লাখ মানুষ। তারা সবাই তাবলিগের তিন চিল্লার সাথী ও সময় লাগানো ওলামা হজরত। গত শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেন প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মুসল্লি। গতকাল শনিবার জোড় ইজতেমায় বাদ ফজর- ছয় সিফাতের ওপর বয়ান করেন মাও. জিয়াউল হক রাইব্যান্ড, পাকিস্তান। সকাল ১০টার পর থেকে চলে কারগুজারীর আমল। বাদ আসর বয়ান করেন মাও. ফারুক, বাদ মাগরিব আমবয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইবরাহীম দেউলা (দা. বা.)।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানায়, সিরাজগঞ্জে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে জেলার তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রানীগ্রাম মহল্লায় যমুনা নদীর শহররক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট তীরে এই আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করেন মাওলানা শামসুদ্দিন। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শুরু হয়।

জেলা তাবলিগ জামাত (নিজাম উদ্দিন অনুসারী) এ ইজতেমার আয়োজন করেন। এতে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সহস্রাধিক মুসল্লির স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে ইজতেমাস্থল প্রস্তুত করা হয়।

ইজতেমা মাঠে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে গতকাল সকাল থেকেই জেলার ৯টি উপজেলাসহ রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নাটোর, নওগাঁ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ ও মাদারীপুরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে মুসল্লিরা ইজতেমায় উপস্থিত হন। এতে কানায় কানায় পূর্ণ হয় ইজতেমা মাঠ।

তাবলিগ জামায়াতের জেলা ফয়সাল শূরা সদস্য ডা. এস এম নাজিম উদ্দীন জানান, ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের বিভিন্ন স্থান মুখরিত হয়ে ওঠে। এ ছাড়া ইজতেমায় সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের তাবলিগের সাথী ও মাওলানারা উপস্থিত থেকে পবিত্র কোরআন ও বিশ্বনবীর সুন্নতের কথা আলোচনা করেন। সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন জানান, সুন্দর পরিবেশে তিন দিনের আঞ্চলিক ইজতেমা আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। এতে লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নিয়েছিলেন। তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে জেলা পুলিশ সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেছে।

"