প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
ট্রাম্পের বাড়তি শুল্কে চাকরি হারাবে ৪ লাখ মার্কিনি
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত আমদানি শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেছে মেক্সিকো। গত ২৮ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লোদিয়া শেইনবাউম এবং অর্থমন্ত্রী মার্সেলো এব্রার্ড এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
শেইনবাউম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি শুল্ক আরোপ করে, তাহলে মেক্সিকোও পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে। ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, ক্ষমতা গ্রহণের প্রথমদিনই চীন, কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। তারই জবাবে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী এব্রার্ড বলেছেন, নতুন এ শুল্কযুদ্ধ মার্কিন কর্মীদের ওপর বিরাট প্রভাব ফেলবে। মেক্সিকোতে উৎপাদিত গাড়ি নির্মাতাদের পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৪ লাখ মানুষ চাকরি হারাবে।
শুধু কর্মসংস্থানই নয়, ভোক্তাদের ওপরও এ শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব পড়বে বলে মেক্সিকান অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ পিকআপ, ট্রাক মেক্সিকোতে তৈরি হয় উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শুল্ক আরোপ করা হলে প্রতিটি গাড়ির দাম তিন হাজার ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ‘নিজের পায়ে কুড়াল মারার মতো অবস্থা হবে’ বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। একাধিক বিশ্লেষক বলেছেন এ রকম সিদ্ধান্ত নিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে পায়ে কুড়ালের কোপ বসাবেন।
গত সোমবার ট্রাম্প বলেছেন, হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি তিন দেশের পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করবেন। অবৈধ অভিবাসন এবং মাদক পাচাররোধে ব্যর্থতার জন্য তিনি এমন পদক্ষেপ নিবেন বলে জানিয়েছেন। তার দাবি এর ফলে মার্কিন উৎপাদন শিল্প আরো শক্তিশালী হবে। অবশ্য অর্থনীতিবিদরা ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লোদিয়া শেইনবাউম জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। অপরদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইতোমধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং দুদেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
"