এস এইচ জাহিদ, শাবিপ্রবি
মশায় অতিষ্ঠ শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেড়েছে মশার উপদ্রব। বিশেষ করে আবাসিক হলে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হলগুলোতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যার পর মশার উৎপাত যেন চরম আকার ধারণ করে। হলগুলোতে সপ্তাহে এক-দুবার ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করা হলেও তাতে কাজ হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
আবাসিক হলগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা ভবন, প্রশাসনিক ভবন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, ইউনিভার্সিটি সেন্টার, ফুডকোর্ট ও শহীদ মিনার এলাকাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মশার উপদ্রব বেড়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে আড্ডা দিতে বসা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ মশার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।
বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থী নাবিদ জানান, হলের পেছনের অংশ অপরিষ্কার থাকায় দিন দিন মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে। আগে রাতেরবেলায় মশার উপদ্রব বেশি দেখা যেত, তবে এখন দিনের সময়ও রুমে মশার উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। একই অভিযোগ রয়েছে ছেলেদের বাকি ২টি ও মেয়েদের ৩টি হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের। আবাসিক হলের পাশাপাশি ক্যাম্পাসেও মশার উপদ্রব আগের তুলনায় বেড়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নুর উদ্দীন রাজু বলেন, ক্যাম্পাসে আগের তুলনায় মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ধ্যার পর যা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যায়। ফলে কেউ চাইলেই রাতে ক্যাম্পাসে বসে আড্ডা দিতে পারে না।
ক্যাম্পাসের পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন গ্রীন এক্সপ্লোর সোসাইটির সভাপতি মো. রমজান হোসেন রনি বলেন, মশা বৃদ্ধিরোধে সবার আগে শিক্ষার্থীদের নিজেদের সচেতন হতে হবে। ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাস্টবিন থাকলেও সেগুলোর সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। অনেকে কিছু খাওয়ার পর উচ্ছিষ্ট অংশ বাইরে ফেলে থাকেন। এগুলোতে জমা পানি মশার বংশবৃদ্ধির অন্যতম কারণ, তাই সবার আগে নিজেদের সচেতন হতে হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আমি সংশি¬ষ্টদের জানাচ্ছি।
"