প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ
১১২ বছর বয়সে চলে গেলেন টিনিসউড
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ জন টিনিসউড আর নেই। ১১২ বছর বয়সে সোমবার ইংল্যান্ডের সাউথপোর্টের একটি কেয়ার হোমে মারা যান টিনিসউড। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস (জিডব্লিউআর) মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জিডব্লিউআর জানিয়েছে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পরিবারবেষ্টিত ছিলেন জন টিনিসউড। তার একমাত্র মেয়ে সুসান, চার নাতি ও তিনটি নাতনি রয়েছে। টিনিসউডের পরিবার বলেছে, তার শেষ দিনটি ছিল সংগীত ও ভালোবাসায় পরিবেষ্টিত।
পরিবারটি এক বিবৃতিতে বলেছে, জন টিনিসউডের অনেক ভালো গুণ ছিল। তিনি বুদ্ধিমান, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী, সাহসী, যে কোনো সংকটে শান্ত, গণিতে প্রতিভাবান এবং একজন দুর্দান্ত গল্পবাজ মানুষ ছিলেন।
তথ্য অনুসারে, ১৯১২ সালের ২৬ আগস্ট জন্মগ্রহণ করা জন টিনিসউড চলতি বছরের এপ্রিলে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ হিসেবে গিনেস রেকর্ডে নাম লেখান।
২০২৪ সালের ২ এপ্রিল সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত পুরুষ হিসেবে ভেনেজুয়েলার জুয়ান ভিসেন্তে পেরেজ ১১৪ বছর বয়সে মারা যান। তারপরই জীবিত সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের তকমা পান টিনিসউড।
দীর্ঘজীবন নিয়ে কোনো বিশেষ ব্যাখ্যা ছিল না টিনিসউডের কাছে। বেঁচে থাকতে এই দীর্ঘায়ুকে ‘ভাগ্য’ হিসাবেই বর্ণনা করেছেন তিনি।
জীবিত সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির তকমা জোটার পর টিনিসউড এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সুস্থ থাকার জন্য একটি উপদেশ হচ্ছে- সবকিছু পরিমিতভাবে করুন।
টিনিসউড বলেছিলেন, যদি আপনি খুব বেশি পান করেন বা আপনি খুব বেশি খান কিংবা আপনি খুব বেশি হাঁটেন, সবকিছুতেই আপনি যদি খুব বেশি করেন, তবে শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
জিডব্লিউআরের মতে, সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ মানুষ ছিলেন জাপানের জিরোইমন কিমুরা। ১৮৯৭ সালে জন্মগ্রহণকারী কিমুরা ২০১৩ সালে ১১৬ বছর বয়সে মারা যান।
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের মৃত্যুও ঘটেছে চলতি বছর। মার্কিন নারী মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরা গত ১৯ আগস্ট ১১৭ বছর ১৬৮ দিন বয়সে মারা গেছেন। তিনি ছিলেন ইতিহাসে যাচাইযোগ্য সবচেয়ে বেশি বয়সী অষ্টম ব্যক্তি ।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত রেকর্ডভুক্ত সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন জিন লুইস ক্যালমেন্ট। তিনি ১৮৭৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার জীবনকাল ছিল ১২২ বছর ১৬৪ দিন। সূত্র: সিএনএন।
"