দীর্ঘ অপেক্ষার পর একনেকে অনুমোদন মিলল চট্টগ্রাম ওয়াসার নতুন সুয়ারেজ প্রকল্পটি। নগরের কালুরঘাটে হামিদচর এলাকায় ৫ হাজার ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে ‘চট্টগ্রাম পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প ও ইমার্জেন্সি মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পটি।

গত সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস এতে সভাপতিত্ব করেন। ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, কালুরঘাটের হামিদচর এলাকায় প্রকল্পের মূল স্থাপনা ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি করা হবে। এটির দৈনিক ধারণক্ষমতা হবে ৬০ হাজার ঘনমিটার। প্রকল্পের অধীনে প্রধান সুয়ারেজ লাইন নির্মাণ করা হবে ১১ কিলোমিটার, শাখা সুয়ারেজ লাইন ৭০ কিলোমিটার এবং সার্ভিস লাইন হবে ৭০ কিলোমিটার। প্রকল্পের আওতায় ৯৩২টি ম্যানহোল এবং গৃহ সংযোগ ও ক্যাচপিট নির্মাণ হবে ১৪ হাজার করে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জামালখান, চকবাজার, চান্দগাঁও, শুলকবহর ও ষোলশহরসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। জাপানের জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসা যৌথভাবে প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে জাইকা দেবে ৪ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা, বাংলাদেশ সরকার ৯৬৯ কোটি টাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসা বহন করবে ৩৯ কোটি টাকা। প্রকল্পের ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণের জন্য বাকলিয়া মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীত এলাকায় ৭৪ একর জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে। একনেকে অনুমোদনের পর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে।

"