পবিপ্রবি প্রতিনিধি

  ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

র‌্যাগিংয়ে নামে নির্যাতন ৫ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) রাতভর র‌্যাগিংয়ের নামে শারীরিক নির্যাতনের শিকার ৫ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাত আড়াইটায় এম কেরামত আলী হলে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন স্নাতক প্রথম বর্ষের (২০২৩-২৪ সেশন) ছাত্র হাসিবুর রহমান সবুজ, অভিজিৎ শর্মা, মৃদুল পাল, তোহাদিন নূরুল ও হাসিবুল ইসলাম নাহিদ।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন : ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের জুনায়েদ হোসাইন, তানভির ইসলাম সিয়াম ও প্রিতম কারণ, আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদের শাওন, সুপেল চাকমা, গোলাম রাব্বি, কৃষি অনুষদের জিহাদ হোসাইন। তারা সবাই ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী।

শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাদের দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে র‌্যাগিংয়ে গুরুতর আহত শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান সবুজকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মীর শহিদুল হাসান শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২০২৩-২৪ সেশনের এক শিক্ষার্থী বলেন, শনিবার গভীর রাতে এম কেরামত আলী হলের একটি কক্ষে র‌্যাগিংয়ের নামে তাদের নির্যাতন করা হয়। এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ কালে আরো জানা যায়, সিনিয়র শিক্ষার্থীরা এসে তাদের সবার ফোন জমা নিয়ে একটা টেবিলে রেখে দেন। পরে তাদের কান ধরে উঠা বসা করানোসহ অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে। অনেক সময় তাদের জানালায় ঝুলানো থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এদিকে এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জিরো টলারেন্স নীতি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কঠোর সমালোচনা শুরু হয়। এছাড়া র‌্যাগিংয়ের প্রতিবাদে ২০২৩-২৪ সেশনের ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছেন। রবিবার কোন অনুষদের নবীন শিক্ষার্থীরা ক্লাস কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেননি। এছাড়া অভিযুক্তদের শাস্তি কার্যকর না হলে ক্লাসে ফিরবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

ঘটনার বিষয়ে পবিপ্রবির প্রক্টর প্রফেসর ড. আবুল বাশার খান বলেন, র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত ৭ শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মামুন অর রশিদ বলেন, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত ৭ শিক্ষার্থীকে হল বহিষ্কার করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close