পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দোকান ফেরত পেতে দ্বারে দ্বারে বৃষ্টি
পার্বতীপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রের এক জায়গায় বাবাহারা এক তরুণীর পৈতৃক সূত্রে পাওয়া দোকানঘর বেদখল হওয়ার সুনিদিষ্ট অভিযোগ উঠেছে। একটি স্থানীয় প্রভাশালী চক্র ওই দোকান ঘরটি জবরদখলের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছে। ওই তরুণী এর প্রতিকার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ওই তরুণীর নাম বুুসরাত জাহান বৃষ্টি (১৮)। তার বাবার নাম মরহুম বুলু সরকার।
জানা যায়, পৌর শহরের সিনেমাহল রোডের একটি ভাঙাড়ির দোকানের মালিক ছিল উপজেলার চণ্ডিপুর জাহানাবাদ গ্রামের বুলু সরকার। তিনি শহরে রোস্তমনগর মহল্লার জিয়াউর রহমানের কাছে মাসিক ভাড়ায় চালাত। ২০০৭ সালে বুলু সরকার মারা যান। এরপর তার স্ত্রী লাকি বেগম তুলতেন ভাড়ার টাকা। ২০০৯ সালে লাকি বেগম অনত্রে বিয়ে করে আলাদা সংসার জীবন শুরু করেন। আগের সংসারের বুসরাত জাহান বৃষ্টি বাবা মারা যাওয়া ও মা অনত্র সংসার জীবন শুরু করায় তিনি মামা ওবায়দুলের কাছে আশ্রয় নেন।
দ্বিতীয় বিয়ের কয়েক মাস পর লাকি বেগম আগের স্বামী বুলু সরকারের পরিচয়ে রোস্তমনগর মহল্লার জিয়ার কাছে বিক্রি করে দোকানঘরটি। জিয়া পরবর্তী সময়ে লাকি বেগমের প্রতারণার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে মোজাফফর নগরের আজিজার রহমানের ছেলে ভাঙাড়ি ব্যাবসায়ী নুরু মিয়ার কাছে বিক্রি করে ঘটনার বৃত্ত থেকে নিজেকে বেরিয়ে আনার চেষ্টা করেন।
এদিকে একমাত্র কন্যা বৃষ্টি ও তার মামা ওবায়দুল জিয়ার কাছে দোকানঘরের ভাড়া নিতে গেলে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং একসময় দোকানঘর বিক্রির বিষয়টি জানাজানি হয়। মা কর্তৃক বাবার দোকানঘরটি গোপনে বিক্রির খবরে নিরুপায় হয়ে পড়েন মেয়েটি। পৌরসভাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়েও কোনো সুরহা পায়নি পরিবারটি।
বুসরাত জাহান বৃষ্টি বাবার সম্পত্তি ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। বিষয়টি নিয়ে ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী জিয়ার সঙ্গে কথা হলে জানান, দ্বিতীয় স্বামীর পরিচয় গোপন রেখে লাকী বেগম দোকানঘরটি আমার কাছে বিক্রি করেছেন। পরবর্তী সময়ে নুরু মিয়ার কাছে বিক্রি করি। এদিকে যোগাযোগ করা হলে নুরু মিয়া এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা জানান।
"