বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
বেনাপোল কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল উদ্বোধন আজ
কমবে বন্দরে পণ্যজট
বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল আজ বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করতে আসছেন নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার। তিনি জানান, নৌপরিবহন উপদেষ্টা বেলা সাড়ে ১১টায় বেনাপোল স্থলবন্দরে নির্মিত কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল উদ্বোধন ও বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন। দুপুর সোয়া ১২টায় বন্দরের অডিটরিয়ামে বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হবেন। বিকেল ৪টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা যায়, জমি অধিগ্রহণপূর্বক প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয় ৩২৯ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় পার্কিং ইয়ার্ড, কার্গো ভবন, বন্দর সেবা ভবন, ইউটিলিটি ভবন, ফায়ার স্টেশন, ওয়েব্রিজ স্কেল, আধুনিক শৌচাগার কমপ্লেক্স, চিকিৎসা, রান্না ও বিশ্রামের ব্যবস্থাসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পে কাজ করেছে চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো- টিবিইএএল, এনডিইএল আরএসএসআইজেভি, এটিটিএল এবং এসটি টেকনোলজি লিমিটেড। ২৪ একর জমির ওপর টার্মিনালটি নির্মাণ করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ বাবদ ১০৯ কোটি ও নির্মাণকাজ বাবদ ২২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এখানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক রাখার ধারণক্ষমতা থাকছে। টার্মিনালটি সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন লাইট, আসবাবপত্র ও বিভিন্ন রকমের ফুলের গাছ দিয়ে। এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার টন পণ্য আমদানি হয়। এটি চালু হলে বন্দরে দীর্ঘদিনের পণ্যজট ও যানজট কমে যাবে। বাণিজ্যে গতিশীলতা বাড়বে। ফলে বন্দরে আসা ট্রাকের মালামাল দ্রুত লোড-আনলোড সম্ভব হবে। এতে একদিকে পণ্যজট ও যানজট কমবে, সেইসঙ্গে রাজস্ব আয়ও বাড়বে।
বন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মশিউর রহমান বলেন, ‘এরই মধ্যে সব কাজ শেষ হয়েছে। উপদেস্টা মহোদয়ের উদ্বোধনের পর টার্মিনালটি চালু করা হবে। টার্মিনালটি চালু হলে বন্দরের সক্ষমতা ও রাজস্ব আয় বাড়বে। কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল নির্মাণে সর্বোচ্চ গুণগতমান নিশ্চিত করা হয়েছে বুয়েট, কুয়েট এবং নিজস্ব ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে।’ বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শামছুর রহমান বলেন, টার্মিনাল চালু হলে দীর্ঘদিনের যানজট ও পণ্যজট কমে যাবে। প্রায় ১ হাজার ৫০০ ট্রাক একসঙ্গে রাখতে পারায় পণ্য দ্রুত খালাস সম্ভব হবে। ভারতীয় ট্রাক পণ্য নামিয়ে চলে যেতে পারবে দ্রুত। পণ্য ছাড় করতে দেরি হলে আমদানিকারকদের যে ক্ষতিপূরণ দিতে হতো, সেটি আর লাগবে না। আর যত বেশি পণ্যবাহী ট্রাক আনলোড হবে, সরকার তত বেশি রাজস্ব পাবে।
"