প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
দুই শিশুকন্যাসহ মায়ের আত্মহত্যা
ইঁদুর মারা বিষ খেয়ে কিশোরের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই শিশুকন্যাসহ এক মায়ের এবং সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ইঁদুরের বিষ খেয়ে এক কিশোরের আত্মহত্যা। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই শিশুকন্যাসহ এক মা বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা সরকার বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে কি কারণে তারা বিষপান করেছেন, তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। মৃতরা হলেন- সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা সরকার বাড়ি এলাকার বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডে ডেইলি বেসিকের কর্মচারী আশরাফ মিয়ার স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৪), তার দুই কন্যা রওজা (৫) ও নওরিন (৩)। ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন মিতুল জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এক নারীকে আনা হয় বিষ খাওয়া অবস্থায়। তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর দুই কন্যাশিশুকে আনা হয়। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত পাওয়া যায়। কিছুক্ষণ পর তাদের মাও মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত কর্মচারীরা জানান, স্ত্রী ও দুই শিশুকে নিয়ে স্বামী আশরাফ হাসপাতালে আসেন। তার সঙ্গে থাকা স্বজনরা জানান, স্ত্রী তার দুই সন্তানকে বিষপান করিয়ে নিজে বিষপান করেন। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তারা বলতে পারেননি। তিনজনের মৃত্যুর নিশ্চিত হওয়ার পর স্বামীসহ তার স্বজনরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। হাসপাতালে আসা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার এসআই মামুনুর রশীদ জানান, তারা বিষপান করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তা জানা যায়নি।
ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার গাবী গ্রামে গত মঙ্গলবার বিকেলে ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে ঝলক তালুকদার (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সে ওই গ্রামের নিশি কান্ত তালুকদারের ছেলে। ওই কিশোর উপজেলার বাদশাগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। জানা গেছে, ঝলক তালুকদার বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিল। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে নিজ বসতঘরে রাখা ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে সে ছটফট করতে শুরু করে। পরে তাকে বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। পরে লাশ বাড়িতে নিয়ে যায় তার স্বজনরা। ধর্মপাশা থানার এসআই বদিউজ্জামান প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টায় লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করি। পরে এ মৃত্যু নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় এবং ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ গ্রহণের আবেদন করায় রাতেই স্কুলছাত্রের লাশটি তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
"