মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি

  ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের নির্বাচিত সরকার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, আমলাতন্ত্র সব সময় জনগণ থেকে একটা দূরত্ব বজায় রেখে চলতো। আমরা মনে করি যে তারা জনগণের সেবক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। সেই সেবাটা যেন তারা জনগণকে দেন এবং জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সেটা দেন। প্রভুমূলক বা প্রভুত্ত্যমূলক জায়গায় না থেকে দূরত্বটা যেন কমিয়ে আনা যায়। মাঠ প্রশাসন সরকারে সঙ্গে জনগণের, তার জন্য আমরা আরো প্রলিসিলেভেলে কাজ করব।

গতকাল বুধবার বিকালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মওলানা ভাসানী ও নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের পূর্বে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা আসার পর দেখলাম- যে কয়টা স্টেডিয়াম আছে এগুলোরই যথার্থ সংস্কার কিংবা যথার্থ ব্যবহার যোগ্যতা নাই। সে জায়গা থেকে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে এগুলো সংস্কারের মাধ্যমে ব্যবহারে যোগ্য গড়ে তোলা। এরই মধ্যে বিসিবি আমাদের একটি তালিকা দিয়েছে। সারা দেশে ৯টা স্টেডিয়াম আন্তজার্তিক পর্যায়ের, যেগুলোতে কখনো কখনো আন্তর্জাতিক খেলা হতো। কয়েকটা আছে যে ২৬ বছর আগে খেলা হয়েছে তারপর আর ব্যবহার করা হয়নি। সেগুলো সংস্কারের মাধ্যমে প্রথমে ব্যবহার যোগ্য করা। একই সঙ্গে আমরা বাফুফেকে নির্দশনা দিয়েছি, আপনারাও একটি তালিকা দেন, ফুটবল স্টেডিয়ামকে কোনোগুলো রিভাইভ করতে পারি। খেলার উপযুক্ত করতে পারি। আপনারা জানেন জেলা ক্রীড়া সংস্থা, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলো বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলো পুনর্গঠন চলছে। আমরা বলেছি, জবাবদিহিতা নিশ্চিতের মাধ্যমে একদম প্রান্তিক পর্যায়ে খেলাধুলাকে পৌঁছে দেওয়া। আবার আগের টুর্নামেন্ট যেন আবার পরিচালিত হয় এবং তরুণরা-যুবকরা যাতে এর মধ্যে অংশগ্রহণ করতে পারে। আপনারও জানেন যে আমাদের প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি তত্ত্বাবধায়নে একটা ইউস

ফ্যাস্টিব্যাল করতে যাচ্ছি। বিবিএএল খেলার যে সময়টা কেন্দ্র করে শুধু স্টেডিয়ামে না স্টেডিয়ামের বাইরেও সারা দেশে ইউস ফ্যাস্টিবাল করার একটা পরিকল্পনা আমাদের আছে এবং সব যুবক-তরুনদের একসঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার আহ্বান থাকবে।

মওলানা ভাসানী পাঠ চক্রের আয়োজনে জাতীয় নাগরিক কমিটি টাঙ্গাইল জেলা শাখার সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে দুই উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ ভাসানীর মাজার জিয়ারত করেন। পরে ভাসানীর গড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে আলোচনা সভায় যোগ দেন।

মাজার জিয়ারত শেষে উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেন, জনগণের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের নির্বাচিত সরকার। জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছি আমরা। জনগণের পক্ষের এবং এই দীর্ঘ লড়াইয়ের যারা স্বপক্ষে আছে তাদেরকে নিয়েই আমাদের এই সরকার গঠন করার পরিকল্পনা এবং সরকার ওইভাবেই চলমান আছে।

নতুন উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি যে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষার পক্ষেই থাকবেন।  আপনারা এই সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পারেন। এই সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করবেন এবং যারা নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন তারাও এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের মধ্যে শামিল হবেন। কোনো রকম সংশয়, সন্দেহ থাকলে আমরা মনে করি এটা কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করা হবে যে তারা জনগণের পক্ষে আছেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কবি, ভাবুক ও রাষ্ট্র চিন্তক ফরহাদ মজহার। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মো. আনোয়ারুল আলম আখন্দ, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, ভাসানী ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close