অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন
আস্থা বাড়ায় ব্যাংকে ফিরছে টাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতনের পর অস্থিরতা দেখা দেয় দেশের ব্যাংকিং খাতে। এমন পরিস্থিতিতে হিড়িক পড়ে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার। বিভিন্ন ব্যাংকে দেখা দেয় তারল্য সংকট। তবে দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ব্যতীত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফের মানুষের আস্থা ফিরছে ব্যাংক খাতের প্রতি। মানুষের হাতে থাকা পুঞ্জীভূত অর্থ ক্রমান্বয়ে ফিরতে শুরু করেছে ব্যাংকগুলোয়। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এমনটা জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, গত আগস্টের শুরুতে ব্যাংক খাতের বাইরে মানুষের হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা। এ সময় তফসিলি ব্যাংকগুলোয় জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ১১৯ কোটি টাকা। এর আগে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর টাকা তোলার পরিমাণ বেড়ে যায়। ওই সময়ে ব্যাংক খাতের বাইরে থাকা টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। গত ১৫ আগস্ট সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে পুঞ্জীভূত ছিল।
তবে অন্তর্বর্তী সরকারের নানা পদক্ষেপে ধীরে ধীরে গ্রাহকের আস্থা ফিরতে থাকে ব্যাংকের প্রতি। একই সময়ে বাড়তে থাকে সুদহার এবং কিছুটা কমতে থাকে মূল্যস্ফীতি। মানুষের হাতে থাকা পুঞ্জীভূত অর্থ কমে গিয়ে বাড়তে থাকে ব্যাংক খাতে অর্থের পরিমাণ। আগস্টের শেষদিকে মানুষের হাতে থাকা অর্থের পরিমাণ কমে গিয়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকায়। এরপর ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়ে সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবরের তথ্যানুসারে মানুষের হাতে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৭৯ হাজার টাকা।
ব্যাংকারদের মতে, ব্যাংক খাতের ওপর গ্রাহকের আস্থা সংকট ও মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধির কারণে মানুষের হাতে নগদ টাকার অঙ্ক বেড়েছিল। তবে সুদ হারের সীমা তুলে দেওয়ার পর ব্যাংকগুলো আমানতের সুদহার বাড়িয়েছে। তাই এখন ব্যাংকে টাকা ফিরছে।
"