নিজস্ব প্রতিবেদক
উন্নয়নের হাতিয়ার কারিগরি শিক্ষা
ড. দেবপ্রিয়
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, দেশ রূপান্তরের জন্য একমাত্র শক্তিই হচ্ছে মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা। এ কারিগরি শিক্ষা আগামী দিনের উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার। তাই একে আধুনিক যুগোপযোগী এবং বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে হবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কিআইবি) মিলনায়তনে সিপিডির জাতীয় সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এখন সরকারের পক্ষ থেকে বহু ধরনের সংস্কারের কথা এসেছে। কিন্তু আমি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে কারিগরি শিক্ষার আধুনিকায়নের জন্য একটি কমিটির গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি। যেটি দু-তিন মাসের মধ্যে সুপারিশ ঠিক করবে এবং আগামী জাতীয় বাজেটেই যাতে সুপারিশ বাস্তবায়নের বরাদ্দ রাখা যায়।
সম্মেলনে উপলক্ষে আয়োজন করা হয় ‘যুব কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে স্থানীয় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভার। সেই সঙ্গে একটি সামাজিক নিরীক্ষা প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়। এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরম, বাংলাদেশ এবং ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) সম্মেলনের আয়োজনে সহায়তা দেয়। আলোচনায় অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এ মতিন চৌধুরী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রুহুল আমিন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রফিক উল্লাহ।
সম্মেলনে বক্তব্য দেন সিপিডির ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ইঞ্জিনিয়ার মাকসুদুর রহমান, বিকাশের ভাইস প্রেসিডেন্ট নভেরা আয়শা, পোশাক খাতের তরুণ উদ্যোক্তা আবরার হোসেন এবং ড. রুবিনা হাসান, ইএসডিওর নির্বাহী পরিচালক ড. শহিদুজ্জামান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি মার্গারেট। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. তোফিকুল ইসলাম খান।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সচিব রুহুল আমিন বলেন, কর্মসংস্থান আমাদের সবচেয়ে বড় ইস্যু। প্রত্যেকের আগ্রহ বাড়াতে হবে। অনেক ট্রেনিংয়ে শিক্ষার্থী নেই। সিরিয়াসনেন্স বাড়াতে হবে। কেননা বর্তমানে টেকনোলজি এত দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, যা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। ফলে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কারিকুলামও পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে যারা প্রশিক্ষণ নেবেন, তাদেরও আগ্রহ যেমন দরকার যারা প্রশিক্ষণ দেবেন তাদেরও আগ্রহ থাকতে হবে।
ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলো বিদ্যমান, সেগুলোর সমাধান না করে নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি করা কোনো সমাধান নয়। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাত্র ১৮-২০ শতাংশ শিক্ষক দিয়ে কীভাবে চলে, যেখানে চলমান প্রতিষ্ঠানগুলোয়ই ৮০ শতাংশ শিক্ষকের পদ শূন্য সেখানে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করে লাভ কী।
"