বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
যুবদল নেতা হত্যায় জড়িতদের শাস্তি দাবি
পটুয়াখালী বাউফলের বগা ইউনিয়ন যুবদল নেতা মনির মৃধা হত্যা মামলার আসামি বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার এবং তার ছেলে সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসানসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় বাউফল, বগা মহাসড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। একই সঙ্গে বগা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা দেলোয়ার হোসেন মুন্সি ও আবদুল জলিল মুন্সি ডাবল হত্যা মামলায় সাজা স্থগিত আদেশ বাতিলের দাবিও তুলেন বিএনপির নেতাকর্মী।
মানববন্ধনে বগা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. বাবুল মৃধার সভাপতিত্বে আসামিদের গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি করে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.গণি সিকদার, সদস্য কামাল মৃধা, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম জসিম, বগা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবুল সিকদার, বগা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুল হক সন্যামত, বগা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি আনিস মৃধা, যুবদল নেতা রিয়াজ মাহমুদ, মোহাম্মদ জাকির হুসাইন, কাজী ইলিয়াস, মাসুদ সিকদার ও শামিম মৃধা প্রমুখ। এ ছাড়া নিহত যুবদল নেতার স্ত্রী শাহিনুর, মেয়ে সুমাইয়া আক্তার স্বর্ণা, নিহত দেলোয়ার, জলিলের চাচা কাদের মুন্সি, দেলোয়ারের ছেলে ইনজামুল হক দোলন ও জলিল মুন্সীর ছেলে সাদনাম সাকিব বক্তব্য দেন।
গত ২০০১ সালের ৮ ডিসেম্বর ধান কাটা নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে সংঘর্ষে নিহত হয় জলিল মুন্সি এবং দেলোয়ার মুন্সি নামের দুই বিএনপি নেতা। এ হত্যা মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক বগা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ ২৯ আসামিকে আদালত যাবজ্জীবন সাজা দেয়। ২০১৩ সালে ৮ মে পটুয়াখালী-২ আসনের বিএনপির সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের ঈদ শুভেচ্ছা পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মনির হোসেন মৃধা ও ছাত্রদল নেতা জাকির হুসাইনের ওপর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার এবং তার ছেলে জেলা যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে ১৮-২০ জন সন্ত্রাসী একটি দল মনির হোসেন এবং জাকির হোসেনের ওপর হামলা করলে মনির হোসেন মারা যান। এ ঘটনায় জাকির হুসাইন বাদী হয়ে ১৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ বিষয়ে আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, এ হত্যার ঘটনায় তিনি বা তার কেউ জড়িত ছিলেন না। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নেতাকর্মীদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য জোট সরকারের সময় এ মামলায় আসামি করা হয়েছিল।
"