ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ভারতে পলায়নকালে আটক যুগ্ম সচিব কারাগারে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)-এর হাতে আটক যুগ্ম সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার বিকেলে উপজেলার পুটিয়া এলাকা থেকে আটক করে বিজিবি। তাকে ওই দিনই সন্ধ্যায় কসবা থানায় সোপর্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিজিবির পক্ষ থেকে ১৯৭৩ সনের পাসপোর্ট আইনে মামলা করা হয়। তার বিরুদ্ধে ঢাকা পল্টন থানায়ও একটি হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। উল্লেখ্য, আটকের পর সুলতানপুর ৬০ বিজিবির পক্ষ থেকে প্রেস রিলিজে জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা পুটিয়া এলাকায় শূন্য রেখার ২০৫০নং পিলার থেকে ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুটিয়া নামক স্থানে কিবরিয়া মজুমদার নামের ওই যুগ্ম সচিব ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। এ সময় সালদানদী বিওপির টহল দল তাকে আটক করেন।
আটক হওয়া এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর অধীনে জয়েন্ট সেক্রেটারি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কোমরকরা গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন আহাম্মদ মজুমদারের ছেলে।
বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিভিন্ন অপরাধমূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় তার নামে একাধিক মামলা হয়। তাই সে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের উদ্দেশ্যে সীমান্ত এলাকায় আসেন। পাসপোর্টবিহীন অবৈধভাবে বাংলাদেশ হতে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার দায়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের করার জন্য কসবা থানায় সোপর্দ করা হয়। সালদা বিওপির নায়েক সুবেদার শফিউর রহমান বাদি হয়ে কসবা থানায় মামলা রুজু করেছেন।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জহিরুল হক কবির জানান, আটক যুগ্ম সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদারকে গতকাল রবিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আটক যুগ্ম সচিব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় পল্টন থানায় হত্যা মামলার পলাতক আসামি ছিলেন।
"