কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ০৫ অক্টোবর, ২০২৪

কোটালীপাড়ায় দখলের হিড়িক

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ভবন নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অন্যদিকে অদৃশ্য কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে কিংবা উচ্ছেদে কোনোরকম পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার সদর, ঘাঘর বাজার ও এর আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ২৭৮টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়া ভাঙ্গারহাটের চারপাশে ৭০টি, কোটালীপাড়া হাসপাতাল রোড়ে ২০টি, রাধাগঞ্জ বাজারে ৫০টি, রাধাগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ১৪টি, মতিরমোড় থেকে উনশিয়া ঘোষবাড়ী পর্যন্ত ১৫টি, পিড়াবাড়ী বাজারে ৩০টি, শুয়াগ্রাম বাজারে ২০টি, কুশলা বাজারে ২০টি, ধারাবাশাইল বাজারে ২৫টি, ওয়াবদার হাটবাজারে ২০টি, রামশীল বাজারে ১০টি, রামশীল ব্রিজের দুই পাশে ১০টি, ত্রিমুখী বাজারে ১০টি, বান্ধাবাড়ী বাজারে ১৫টি, তরুর বাজারে ৩০টি, কালীগঞ্জ বাজারে ৩৫টি, চৌধুরীর হাটে ১০টি, ধারাবাশাইল থেকে কান্দি সড়কের পাশে ২০টি, তারাশী থেকে টুপরিয়া বাজার সড়কের পাশে ৪০টি, কুশলা বাজার থেকে মান্দ্রা পর্যন্ত সড়কের পাশে ৩৫টি, শিকিরবাজার থেকে বুজুর্গকোনা সড়কের পাশে ২৫টি অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। একই সঙ্গে ঘাঘর নদীসহ উপজেলার বিভিন্ন খাল দখল করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ব্যবস্থাপ্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা।

ঘাঘর বাজারে আমিনুল ইসলাম হাওলাদার, সামসুদ্দিন মিয়া, কাঠ ব্যবসায়ী নুরুজ্জামানসহ একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। অধিকাংশ দখলদার সরকারি জায়গা দখলের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে কাঠ ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান সরকারি জায়গা দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ঘাঘর নদীর ভেতরেও আমার দলিলের জায়গা রয়েছে। সেই জায়গায় আমি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছি।

দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করার দাবি জানান উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মান্নান শেখ। তিনি বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খাল দখল করে ভবন নির্মাণ করায় খালগুলো সাধারণ মানুষের ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। আইনকানুন না মেনে সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করায় সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। তাই আমি এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ দখলদারদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক দত্ত বলেন, শিগগিরই এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close