আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
উপকূলেও অধরা ইলিশ
বরগুনার আমতলীসহ উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন হাটবাজারে ইলিশের ছড়াছড়ি। বাজারে পর্যাপ্ত জোগান দেখা গেলেও দাম সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে। ইলিশের যখন আকাল ছিল তখন যে দরে বিক্রি হয়েছে, এখন সরবরাহ পর্যাপ্ত হলেও আগের দরেই বিক্রি করা হচ্ছে। ইলিশের উৎপাদন আরো বাড়লে দাম কমানো সম্ভব বলছেন স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
গতকাল আমতলী মাছ বাজার, তালতলী ফকিরহাট ও মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগের চেয়ে গত ২-৩ দিন ধরে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। বড় সাইজের ইলিশ কম ধরা পরলেও মাঝারি ও ঝাটকা ইলিশ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। ট্রলার মালিক ও জেলেরা আক্ষেপ করে বলেন, অবরোধ শেষ হওয়ার পরে যখন সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবে ঠিক তখনই জেলেদের রোজগারের পথে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াবে আবহাওয়া। উপকূলের বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৩৫ হাজার টাকা এবং ১ কেজি বা তার উপরের ওজনের ইলিশ ৭২ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। তালতলীর ফকিরহাট বাজারের মৎস্য আড়তদাররা জানান, সামুদ্রিক ইলিশ ৫০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৫০ থেকে ৫২ হাজার টাকা, ৭০০ গ্রাম ওজনের প্রতি মণ ৫২ থেকে ৫৪ হাজার টাকা, এছাড়াও সাইজ, ওজন ও ধরা পরা ইলিশের পরিমাণের ওপর দাম উঠা-নামা করে।
আমতলী মাছ বাজারে ৫০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি-কেজি ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতি-কেজি ইলিশ ১৫০০ টাকা থেকে ১৭০০ টাকা, ১ কেজি বা তার ওপরের প্রতি-কেজি ওজন অনুসারে ১৮০০ টাকা ২২৫০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। এই দরে ইলিশ ক্রয় করা আমতলীসহ উপকূলের মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত বা দরিদ্র মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। মাছ বিক্রেতারা জানান, এত দিন তো মাছ পাইনি। গত দুই দিন ধরে মোটামুটি ভালোই ইলিশ পেয়েছি, দামও ভালো আছে। মাছের সরবরাহ বেশি দেখে মাছ কিনতে আসা শ্রমিক নজরুল জানান, ইলিশের যে দাম আমাদের পক্ষে কেনা করা সম্ভব নয়। আমতলী মাছ বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী নুর আলম বলেন, গত দুই-তিন দিন মাছ বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেশি। তবে চাহিদা থাকায় দাম একটু বেশি। আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার দাস বলেন, বাজারের মূল্য নির্ধারণের জন্য আমাদের একটি কমিটি রয়েছে। তারাই মূল্য নির্ধারণ করবেন।
"