ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

‘শিক্ষা কমিশন থেকে নাস্তিক সরাতে হবে’

শিক্ষা কমিশন থেকে নাস্তিক ও কায়সার মামুন ও সামিনা লুৎফা নামে দুই কুলাঙ্গারকে কমিশন থেকে সরাতে হবে। অবিলম্বে শিক্ষা কমিশনে ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থায় নাস্তিকবাদের বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। গতকাল শনিবার দুপুরে ঈশ্বরগঞ্জ স্থানীয় সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচার এবং নৈরাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে এ গণসমাবেশ করা হয়।

সমাবেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে একটি হিন্দুবাদ অঙ্গ রাজ্যে পরিণত করতে চেয়েছিল। শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল দেশকে ধ্বংস করার রাজনীতি। এদেশে সম্পদ লুট করে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করে দিয়েছে। যেন বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় অধিকার ছিনতাই করেছে।

এ ছাড়াও তিনি আরো বলেন, এদেশের মানুষের ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক অধিকার ছিনতাই করা হয়েছিল। বাকস্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার হরণ করে একদলীয় শাসনব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল শেখ হাসিনা।

কিন্তু গত জুলাই এবং আগস্টের বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এই ফ?্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুসলিম জাতিসত্তা ও ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দিয়েছে। শেখ হাসিনা স্বাধীনতার অঙ্গীকার ভঙ্গ করে সমকামিতাসহ আইন, ধারা, উপধারা দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল।

সমাবেশে হাসিনার শাসনামলে নিহত ও শাহাদাতবরণকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনাকে উৎখাত করেছি নতুন কোনো ইসলামবিদ্বেষী শক্তিকে বাংলার মসনদে দেখবার জন্য নয়। ডক্টর ইউনূস সাহেবের সরকারকে আমরা এখন পর্যন্ত সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আগামী দিনেও এই সহযোগিতা থাকবে। কিন্তু সেই সহযোগিতা সরকারেরও থাকতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই এদেশের ধর্মপ্রাণ মসিলমানদের ছাড়া সরকার পরিচালনা করা সম্ভব নয়। দেশের প্রশ্নে ইসলামের প্রশ্নে মানবতার প্রশ্নে আমরা কারো সঙ্গে আপস করতে প্রস্তুত নই। যদি হিন্দুত্ববাদী এবং ইসলামবিরোধী কোনো এজেন্ডা পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠোর হস্তে প্রতিহত করা হবে ইনশাআল্লাহ। হিন্দুত্ববাদী শিক্ষাব্যবস্থাকে উৎখাত করার জন্য আমরা সংগ্রাম করে যাচ্ছি।

সমাবেশে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ঠান্ডা মাথায় আমরা কথা বলছি, আমাদের ভাষা বুঝবার চেষ্টা করেন। সমকামিতা ও অসভ্যতার নোংরামি এই বাংলাদেশে বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে আবার রক্ত দেব, আবার শহিদ হব।

ঈশ্বরগঞ্জে গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মুফতি মাহমুদুল হক আযীযীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ ও খেলাফত মজলিসের আরেক যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীনসহ অন্য নেতারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close