শামীম রেজা ডাফরুল, গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা)
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা-বাবা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ গোবিন্দগঞ্জে যুবক জুয়েল রানাকে হারিয়ে শোকে পাগলপ্রায় তার অসহায় মা-বাবা। আন্দোলনের শেষ দিনে গত ৫ আগস্ট গাজীপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন জুয়েল। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের শাখাহাতী গ্রামের দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান জুয়েল রানা। মা-বাবার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। পেশায় ছিলেন গার্মেন্টকর্মী। তার উপার্জনেই চলতো দরিদ্র কৃষক পরিবারটি। মা-বাবা, স্ত্রী ও অবুঝ দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ছিল তাদের সংসার। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে তার অংশগ্রহণ ছিল প্রশংসনীয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন জুয়েল। আন্দোলনের শেষ দিনে হাসিনা সরকারের পতনের খবরে আনন্দ মিছিল করতে গিয়ে গাজীপুরে আনসার একাডেমির সামনে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। সে সময় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান বন্ধুরা। হাসপাতালগুলোয় আহতদের অনেক ভিড় ছিল। এ সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। একসময় নিজে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছেন অনেক মানুষের জীবন। কিন্তু রক্তের অভাবেই তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বাবা-মা। জুয়েল বিষয়ে জানতে চাইলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা-বাবা। জুয়েলের বাবা প্রতিদিনই ছেলের কবরে গিয়ে কিছুটা সময় বসে থাকেন, ছেলের কবরের পরিচর্যা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ছেলে হত্যার উপযুক্ত বিচার চাই। সেই সঙ্গে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
"